ঘরের মাঠ, অভিজ্ঞতা ও পরিণতের দিক দিয়েও সিলেটের চেয়ে বেশ এগিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু মাঠের খেলায় উল্টো চট্টগ্রামকে শাসাচ্ছে সিলেট। তৌফিক হক তুষার, অমিত হাসান ও জাকির হাসানের অনবদ্য ফিফটির উপর ভর করে মোটামুটি বড়সড় লিড পেয়েছে সিলেট বিভাগের তরুণরা। তবে এদেরকে ছাড়িয়ে সাগরপাড়ে কিছুটা আলো হলেও নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন সাগরপাড়ের তরুণ বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৬২ রানে এগিয়ে গেছে সিলেট।
ফিফটির পর সিলেটের তৌফিক হক তুষার, অমিত হাসান ও জাকির হাসান সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের পথ আটকে দেন স্পিনার চট্টগ্রামের হাসান মুরাদ।
সিলেট বিভাগের সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে থামানোর পাশাপাশি আরও দুই উইকেট নিয়ে ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের হাসান। বাঁহাতি স্পিনার ১১২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে লিড ঠিকই পেয়েছে সিলেট বিভাগ। ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের রান ৩০৩। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানে অলআউট হওয়া চট্টগ্রাম বিভাগের থেকে ১৬২ রানে এগিয়ে সিলেট।
হাতে ১০ উইকেট ও ১৫ রান নিয়ে সোমবার ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ইমতিয়াজ ও তৌফিক। ইমতিয়াজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৯ রানে আউট হন। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে অমিত ও তুষার তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু ফিফটির পর কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
তুষার ৬৮, অমিত ৭৯ রানে আউট হন। চারে নামা জাকির হাসান দ্যুতি ছড়িয়ে রান তুলতে থাকেন। অনায়েস ব্যাটিংয়ে ফিফটিতে পৌঁছার পর সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান। কিন্তু ১৩ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকেও। ৮৭ রানে আউট হন হাসান মুরাদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এরপর শাহানুর ও আসাদুল্লাহ গালিবের উইকেট নিয়ে ফাইফারের স্বাদ পান বাঁহাতি স্পিনার।
স্কোরবোর্ডে ৩০৩ রান নিয়ে সিলেট দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। আবু বক্কর ১৩ ও রাহী শূন্যরানে অপরাজিত আছেন।
চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস: ১৪১/১০, ৮০.১ ওভার (সাব্বির হোসেন ১৬, তামিম ইকবাল ৩১, পিনাক ঘোষ ১১, সৈকত আলী ১০, পারভেজ হোসেন ইমন ১৫, ইরফান শুকুর ৯, ইফতেখার সাজ্জাদ ৪, হাসান মুরাদ ১৪, ইয়াসিন আরাফাত ১১, আহমেদ শরীফ ৫ নটআউট, নাইম আহমেদ ৩/২৮, নাবিল সামাদ ৫/৪৭, তানজিম সাকিব ১/২৩)।
সিলেট প্রথম ইনিংস: ৩০৩/৭, ৯৫ ওভার (ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ১৯, তৌফিক খান ৬৮, অমিত হাসান ৭৯, জাকির হাসান ৮৭, আসাদুল্লাহ গালিব ১৭, আবু বাকের নটআউট ১৩, আবু জাইদ নটআউট ০; হাসান মুরাদ ৫/১১২, সৈকত আলী ১/০, ইফতেখার সাজ্জাদ ১/৯৩)।