মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

'চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সিজেকেএসের অধীনেই থাকবে'

সংগঠকদের দাবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

'চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সিজেকেএসের অধীনেই থাকবে'

'চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মাঠ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনেই থাকবে। অন্য কারো তত্ত্বাবধানে থাকা সমীচীন বলে আমরা মনে করি না।'

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদিত ক্লাব সমুহের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী একথা জানান। 

সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২৫  বছরের জন্য চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে বাফুফের নিকট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামের সকল ক্লাব ও ক্রীড়ামোদী জনগন হতবাক ও মর্মাহত। মাঠ বরাদ্দের অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে ক্রীড়ামোদী জনগনের পক্ষে থেকে ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টদের নিকট জেলা প্রসাশক মারফত পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

এর প্ররিপ্রক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক প্রেরিত সংশোধনী পত্রে চট্টগ্রামে  সকল ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনায় বাফুফের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। যা কেন ভাবেই চট্টগ্রামের ক্রীড়ামোদীদের কাছে কাম্য নয়।

চট্টগ্রামের এই স্টেডিয়ামের অতীত সম্পর্কে অবগত করে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জায়গায় চট্টগ্রামের বিত্তবান ক্রীড়াব্যক্তিগণের নিজস্ব অর্থায়নে এই স্টেডিয়াম নিমার্ণ করা হয়েছিল।  

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সৈয়দ আবুল বশর ( ফ্রেন্ডস ক্লাব ) ও হাফিুজুর রহমান (ওপিএ ), চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি (অন্তর্ভর্তিকালীন) জাহেদুল করিম কচি,  সৈয়দ শাহাবুদ্দীন শামীম (চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ), সিডিএফএ সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল (ক্রিসেন্ট ক্লাব) ।

সাংবাদিক সম্মেলনে সৈয়দ আবুল বশর তার বক্তব্যে বলেন, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অতীতের মত সকল খেলাধুলার জন্য উম্মুক্ত রেখে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের চাওয়া একটি নতুন আধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলে আমরা প্রাণভরে উচ্ছ্বাস কবর।

হাফিজুর রহমান বলেন, আন্দোলন - অবরোধের মাধ্যমে নয় সদয় ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রীড়া সংগঠক, ক্লাব প্রতিনিধি, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্থরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে আমরা দাবী আদায়ের চেষ্টা করছি।

সৈয়দ শাহাবুদ্দীন শামীম বলেন, একটাই কথা মাঠ যেন আমাদের থাকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই মাঠের তত্বাবধায়ক, মাঠের মালিক সেনাবাহিনী। আমরা ক্লাব কর্মকতারা খেলাধুলায় অংশগ্রহন করে হাজারো খেলোয়াড় ও  তাদের পরিবারকে সহায়তা করছি। নিজেদের অর্থ খেলাধুলার পিছনে ব্যয় করি বলে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে আমরা (ক্রীড়া সংগঠকরা) পাগল।                                                       

তিনি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের লেখনির কারণে আজ আমরা জাতীয় পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই মাঠ ফিফার অধীনে চলে গেলে আমাদের আর কোন অস্থিত্ব থাকবে না। চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবসহ অন্যান্য দলও খেলাধুলায় জন্য দল গঠন করবে না।

জাহেদুল করিম কচি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রাপ্তি মাঠ ইজারার এই সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামের জন্য অশনিসংকেত।

আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমি এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারিনি। কারন এই সিদ্ধান্তের ফলে চট্টগ্রামের ফুটবল ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের নব নির্বাচিত এডহক কমিটির সভাপতি শাহাজাদা আলম, সিজেকেএস এর সাবেক কর্মকতা ও কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম ( রাইজিং স্টার ক্লাব ), শাহাবুদ্দীন জাহাঙ্গীর (শতদল ক্লাব),  নগর বিএনপি নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সিজেকেএস কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান মাহাবুব (ফ্রেন্ডস ক্লাব ) নাসির মিয়া (কল্লোল সংঘ ), হারুনুর রশীদ (নবীন মেলা), সাইফুল আলম খান ও আলী হাসান রাজু (বক্সির হাট ইয়ংমেন্স ক্লাব)  এনামুল হক এনাম (আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব), সোহেল আহম্মদ (নিমতলা লায়ন্স ক্লাব), আবু সামা বিপ্লব (এফএমসি) সহ বিভিন্ন ক্লাব প্রতিনিধিরা।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন