প্রায় ৫ ঘণ্টার (৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট) তুমুল লড়াই শেষে এল সেই মুহূর্তটা। একজন কোর্টে লুটিয়ে দু হাতে ঢাকলেন মুখ। সেই একজনের নাম নোভাক জোকোভিচ নয়, কার্লোস আলকারাজ। ২০১৩ সালের পর অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে যিনি হারেননি, সেই জোকোভিচকে হারিয়ে উইম্বলডনের ট্রফি হাতে তুললেন টেনিসের ভবিষ্যৎ আলকারাজ। দশ বছরের মধ্যে উইম্বলডনে এটিই ছিলো জকোভিচের প্রথম হার। প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি। অথচ প্রথম সেটটা কী বাজেভাবেই না হেরেছিলেন আলকারাজ!
প্রথম সেটে ৬-১ গেমে আলকারাজকে উড়িয়ে দিয়েছেন জকোভিচ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান আলকারাজ। টাইব্রেকে ৭-৬ (৮-৬) ব্যবধানে জিতে যান স্প্যানিয়ার্ড।
টাইব্রেকে দ্বিতীয় সেটে জকোভিচকে হারিয়ে দেওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচের আগে গ্র্যান্ড স্লামে টানা ১৫টি টাইব্রেকে অপরাজিত ছিলেন জকোভিচ! আর শেষ সেটে যেভাবে জিতলেন ২০ বছর বয়সী আলকারাজ, সেটি যেন ছেলেদের টেনিসে যুগ বদলেরই বার্তা!
ড্রপ শট বরাবরই আলকারাজের শক্তি। কালও সেটা দেখা গেল। শিরোপা-নির্ধারণী শেষ সেটে তার ড্রপ শটের সামনে বড্ড অসহায় দেখা গেল জকোভিচকে। শুধু কি ড্রপ শট! আলকারাজের শক্তিশালী সার্ভের বিপক্ষে বড় নড়বড়ে মনে হলো ৩৬ বছর বয়সী জকোভিচকে।
একপর্যায়ে তো টানা তিনটি এইস করলেন আলকারাজ। এই আলকারাজকে দেখে বিবিসি অনলাইনে ম্যাচে লাইভ কমেন্ট্রিতে সংবাদমাধ্যমটির টেনিস প্রতিবেদক রাসেল ফুলার মন্তব্য করলেন, ‘স্টার্ট অব আ স্প্যানিশ ডাইনাস্টি।’ বিবিসির টেনিস ধারাভাষ্যকার অ্যান্ড্রু ক্যাস্টলেরও কাছাকাছি মন্তব্য, ‘সেন্টার কোর্টের নতুন কিং।’