হারলেই বিদায়। জিতলেও রানরেট বাড়িয়ে রাখতে হবে। দুই কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। দুই লক্ষ্যই পূরণ হলো বলা যায়। জয়ও পাওয়া হলো, বড় জয়ে রানরেটও বাড়িয়ে নিলো সাকিব আল হাসানের দল।
রশিদ টপ-এজড তাসকিনের বলে, ক্যাচ গেল সাকিবের হাতে। তাতেই শেষ হলো আফগানিস্তানের ইনিংস। ৮৯ রানের বড় জয় বাংলাদেশের।
ব্যাটিং অর্ডারে চমকজাগানিয়া পরিবর্তন, একাদশে মাত্র পাঁচ জন স্বীকৃত বোলার নিয়েই দাপটটা দেখাল সাকিব আল হাসানের দল। ৮৯ রানের বড় জয়ের সঙ্গে নেট রানরেটেও বাংলাদেশ দিয়েছে বড় এক লাফ।
কার্যত তাই সুপার ফোরে উঠে গেছে বাংলাদেশ। কারণ আফগানিস্তান রান রেটে এখনোই পিছিয়ে, শ্রীলঙ্কাকে ছোট ব্যবধানে হারালেও সেটি বাংলাদেশকে টপকে যেতে যথেষ্ট হবে না। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা যদি বড় ব্যবধানে হারে, তাহলে তাদের রানরেট নেমে আসবে বাংলাদেশের নিচে।
পাল্লেকেলেতে উইকেটের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিংটা এক নাজমুল ছাড়া কেউই করতে পারেননি বাংলাদেশের, লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আজ ঘটেছে সেটির বিপরীত। টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর ওপেনারদের ভালো শুরু, টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারের একজনের সেঞ্চুরি—বড় স্কোরের রেসিপি মেনেই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। সেটি আবার ঘটেছে একাধিক ব্যাটসম্যানের নিয়মিত পজিশন অদলবদলের পর!
মিরাজ ও নাজমুলের সেঞ্চুরিই গড়ে দিয়েছে জয়ের ভিত। বোলাররা করেছেন বাকি কাজ।