চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানী মাস্টার্স টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালের টিকিট পেতে চিটাগাং মাস্টার্সকে শেষ ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আগ্রাবাদ মাস্টার্স। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৯ উইকেটের দাপুটে এক জয় দিয়ে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে নাম লেখাল চিটাগাং মাস্টার্স। তাদের সঙ্গী হিসেবে আগে থেকে সেমিতে উঠে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব ও লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাব।
শুক্রবার (২৬ মে) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে নাইনটিজ উইলো ৯ উইকেটে চিটাগাং ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছিল। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগাং মাস্টার্সের বিশাল জয়ের কারণে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো নাইনটিজ উইলোকে।
দিনের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং ইউনাইটেড নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৯২ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন অলক নন্দী। এছাড়া টিটু ১৯, আরিফ ১৫, মাহতাব ১৩ এবং জাদিুল ইসলাম ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাইনটিজ উইলোর পক্ষে ১১ রানে ৩টি উইকেট নেন রিপন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা নাইনটিজ উইলো জিয়াউর রহমান রানার দুর্দান্ত ব্যাটিং এর সুবাধে ১২.৫ ওভারে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। দলের পক্ষে রানা ২৭ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক মাসুম উদ দৌলা অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৩৭ রান করে। বিজয়ী দলের মাসুম উদ দৌলা ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আগ্রাবাদ মাস্টার্স শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। এক পর্যায়ে ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩১ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৩১ রান করেন মাসুদ করিম। এছাড়া একরাম ২০, ফারুখ টিটু ১৪, সুমন শাহ ১৩, আরিফ ১৩ এবং মশিউর রহমান করেন ১৫ রান। চিটাগাং মাস্টার্সের পক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন রাশেদ। ১০ রানে ২ উইকেট নেন কায়সার পারভেজ।
জবাবে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং মাস্টার্সের দুই ওপেনার অপু এবং মাহতাব মিলে যোগ করেন ৫৫ রান। ২৬ রান করে মাহতাব ফিরলেও অপু এবং একরামুল হক মিলে ১৬.৪ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে পরাজিত থাকেন অপু। একরামুল হক অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলে ৩৭ রান। বিজয়ী দলের মোহাম্মদ রাশেদ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।
আগামী শুক্রবার (২ জুন) টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।