নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাইজিং স্টার ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়ে লজ্জাজনক পরাজয়ের শিকার হয়েছিল শহীদ শাহজাহান সংঘ।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম বন্দরের করা ২৬৭ রান তাড়া করতে নেমে বরাবর ২৬৭ রানে থেমে ম্যাচ টাই করেছিল ইস্পাহানি স্পোর্টস ক্লাব।
প্রথম রাউন্ডে ব্যাটিংয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করা দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে শাহজাহান সংঘের করা ২২৫ রানি করতে পারেনি ইস্পাহানি
ফলে, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৯ রানের জয় নিয়ে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করে শাহজাহান সংঘ।
আগের ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয়েছিল শাহজাহান সংঘকে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে জিতেও আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দলের কোন ব্যাটসম্যান বড় কোন স্কোর না পেলেও এক থেকে দশ নম্বর ব্যাটসম্যান সবাই নিজেদের রান নিয়ে গেছেন দুই অঙ্কের কোটায়।
মিম মোসাদ্দেক ও বেলাল হোসেন রাজা শাহজাহান সংঘের ইনিংসের সূচনা করতে গিয়ে দলকে ৬.৫ ওভারে ২৯ রানের জুটি এনে দেন। ২৪ বলে ১৬ রান করা বেলাল আউট হলে উইকেটে এসে মিমের সাথে ১০ রানের জুটি গড়েন। মিম ২০ বলে ১৪ রান করে আরিফ জনির বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে যান। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা উইকেটে এসে সেট হওয়ার পর আউট হয়ে গেলে শাহজাহান সংঘের বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি।
ছয় নম্বরে নামা নাঈম হুজুর ৫৮ বলে ৩টি চার ও এক জোড়া ছয়ের সাহায্যে ৪৯ রান না করলে দলের আর ছোট হতো। নাঈম ছাড়া অন্যদের মধ্যে আতিক (৪১ বলে ২৮ রান), হাবিবুল্লাহ নিশাদ (৫৪ বলে ৩৩ রান), মাহফুজুর রাব্বি (৫২ বলে ২৫ রান), রনি ফয়সাল (৩১ বলে ২৮ রান), তন্ময় দীপ্ত (১৪ বলে ১২ রান) এবং হাসান মুরাদ (৭ বলে ১৩ রান) প্রত্যেকেই রানের দেখা পান।
ইস্পাহানির পক্ষে বল হাতে নেয়া ছয় বোলারের প্রত্যেকেই পান উইকেটের দেখা। সাজ্জাদ, জনি, জয়, রনি, ইমরুল প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট। সোহাইল শিকার করেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে কোন রান করার আগেই শুভ দাশকে হারায় ইস্পাহানি। এরপর তওসিফ এসে ২২ রানের জুটি গড়েন হাসানের সাথে। ১২ বলে ৪ চারের সাহায্যে ১৭ রান করে মাহফুজুর রাব্বির প্রথম শিকারে পরিণত হন হাসান।
এরপর অমিত হাসান এসে যোগ দেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অমিত আর তওসিফ গড়েন ৭৫ রানের জুটি। রাব্বির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তওসিফ ৬১ বলে ৪২ রানের ইনিংস।
মিডল অর্ডারে তওসিফের পর অমিত (৫৭ বলে ৪৮ রান) ও অধিনায়ক ইমরুল করিম (৭০ বলে ৪৬ রান) ছাড়া আর কেউ রান না পেলে ইস্পাহানির দৌড় থেমে যায় ২০৬ রানে।