চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপায় চোখ প্যারিস সেন্ত জার্মেইর (পিএসজি)। গতবার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি চাইছে না প্যারিসের সেরা ক্লাবটি। তাই তো এবার ইউরোপ সেরা লিগে শুরুটা জয় দিয়ে অন্যদের বার্তা দিয়ে রাখলো ভালোভাবেই। বুধবার রাতে পিএসজি কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়ায় ২-১ গোলে হারিয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসকে।
পার্ক দি প্রিন্সেসে গ্যালারি ঠাসা দর্শকদের উপস্থিতিতে শুরু থেকে পিএসজি উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে। শুরুর ২২ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে চালকের আসনে বসে যায় দলটির। নেইমার-এমবাপ্পে-হাকিমি ত্রয়ী ভালোভাবেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পেরেছে এদিন।
ম্যাচ ঘড়ির ৫ মিনিটে পিএসজি প্রথম সুফল পায়। নেইমারের বুদ্ধিদ্বীপ্ত লব থেকে এমবাপ্পে ডান পায়ের দারুণ ভলি দল এগিয়ে যায়।
পিছিয়ে থেকে জুভেন্টাস ১৯ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করে। কুয়াদ্রাদোর ক্রসে ৬ গজ দূরত্বে থেকে আর্কাডিউজ মিলিকের জোরালো হেড জায়গায় দাঁড়িয়ে দোনারুম্মা হাত দিয়ে প্রতিহত করেন।
২২ মিনিটে আক্রমণে ফিরে পিএসজি ব্যবধান দ্বিগুণ করে। আশরাফ হাকিমির সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে এমবাপ্পে জোরালো শটে দলকে আবার গোল উপহার দেন। ৪৩ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির বা পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তৃতীয় গোলের দেখা মিলেনি।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতির পর জুভেন্টাস ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। একটি গোল শোধও দিয়েছে। যদিও ৫১ মিনিটে এমবাপ্পের একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও তা লক্ষ্যে থাকেনি। পোস্টে রাখতে পারলে তখনই হ্যাটট্রিকের দেখা পেতেন ২৩ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার।
দুই মিনিট পর জুভেন্টাস এক গোল শোধ দেয়। ফিলিপ কস্টিকের বা প্রান্তের ক্রসে বদলি নেমে ওয়েস্টন ম্যাকনির লাফিয়ে উঠা হেড ড্রপ খেয়ে জড়িয়ে যায় জালে। ৫৬ মিনিটে দুসান ভায়োভিচের হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দোনারুম্মা রক্ষা করেন।
কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি প্যারিসের সেরা ক্লাবটির। এই ম্যাচে দলের আরেক তারকা লিওনেল মেসি এদিন সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তবে তাতে অবশ্য দলের জয় পেতে বড় কোনও সমস্যা হয়নি।
এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ৩-০ গোলে সেল্টিককে হারিয়েছে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, লুকা মদরিচ ও এডেন হ্যাজার্ড গোল পেয়েছেন।
এছাড়া ডায়নামো জাগ্রেব ১-০ গোলে চেলসিকে, ম্যানচেস্টার সিটি ৪-০ গোলে সেভিলাকে, শাখতার দোনেক্স ৪-১ গালে আরবি লাইপজিগকে, বেনফিকা ২-০ গোলে মাক্কাবি হাইফাকে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে কোভেনহানকে হারায়। শুধু এসি মিলান ও সালসবুর্গ ১-১ গোলে ড্র করেছে।