৬৪ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে ওয়েলস। কিন্তু মাঠে নামার আগেই কাতারের তপ্ত আবহাওয়ায় বিপত্তিতে পড়েছে দেশটির খেলোয়াড়েরা। ঠান্ডার দেশ থেকে এসে গরমের অস্বস্তিতে পড়েছেন গ্যারেথ বেলরা।
কাতারে পৌঁছানোর পর ওয়েলসের প্রথম অনুশীলন ছিল বুধবার। সময় নির্ধারিত ছিল বেলা দেড়টা। ওই মুহূর্তে কাতারের তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ইউরোপীয় দেশ ওয়েলসের মানুষের জন্য এই তাপমাত্রা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ের।
বছরের এই সময়ে দিনের বেলায় ওয়েলসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়ে থাকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাতারে যা আড়াই গুণের বেশি। গরমে নাকাল হওয়া থেকে বাঁচতে তাই অনুশীলনের সময় পিছিয়ে দেয় ওয়েলস।
এর মধ্যে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হবে দোহার স্থানীয় সময় রাত ১০টায়। কিন্তু ২৫ নভেম্বর ইরানের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা একটায়। অনুশীলনে জেরবার অবস্থা হলে ম্যাচে কীভাবে গরম সামাল দেবে ওয়েলস?
কোচ রবার্ট পেইজ এ ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামের শীতাতপব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের ম্যাচগুলো যে মাঠে, সেখানে আমি গিয়েছিলাম। গরম সামাল দেওয়ার জন্য ওরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে। মাঠের চারপাশে শীতাতপ পরিবেশ নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছে। যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখান থেকেই আমি অনুভব করতে পারছিলাম।’