চট্টগ্রাম আবাহনীর ছন্দপতন, জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম আবাহনীর ছন্দপতন, জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে হারের 'স্বাদ' কেমন সেটি ভুলে যাওয়ার কথা চট্টগ্রাম আবাহনীর। দুই মৌসুম আগে টানা ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ব্রাদার্সের কাছে হেরে গিয়েছিল শেষ ম্যাচে। এরপর শুধুই ছুটে চলেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়রথ। গত মৌসুমে অপরাজিত থাকা আবাহনী চলতি মৌসুমেও অপরাজিত ছিল প্রথম ছয় ম্যাচে। কিন্তু সপ্তম ম্যাচে এসে ছন্দপতন হলো চট্টগ্রাম আবাহনীর। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শিরোপা প্রত্যাশি চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৬৪ রানে হারিয়ে দেয় পাইরেটস অব চিটাগাং। 

সকালে টসে জিতে পাইরেট্স প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ওভারের ২ বল বাকি থাকতে তারা ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এদিন জাতীয় ক্রিকেটার শুভাগত হোমকে দলে ভেড়ায় পাইরেটস। শুরুতেই পাইরেটস ওপেনার রাকিব ইসলাম রান আউটের শিকার হলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাওসিফ এবং সাদ্দাম হোসেন ৮৯ রানের জুটি বাঁধেন। সাদ্দাম ৪৫ বলে ৩৮ রান করে শোয়াইবের বলে বোল্ড হয়ে যান। শাহাদাত এসে সুবিধা করতে পারেননি। ২ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি ওপেনার তাওসিফ। দলীয় ১২৩ রানে হাসনাতের বলে বোল্ড হন তিনি। ৭২ বল খেলে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ রান করেন তাওসিফ। 

এরপর ওমর হাসান এবং শুভাগত হোমের ৫ম উইকেট জুটি দলকে ৬৮ রান এনে দেয়। শুভাগত ৪৩ বল খেলে ৪৫ রান করে তাজুলের বলে তারই হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ৬টি চার মারেন তিনি তার ইনিংসে। ওমরের সাথে এরপর যোগ দেন অধিনায়ক মো. রুবেল। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এ জুটি। দলীয় ২১৯ রানের মাথায় রুবেল রান আউট হয়ে যান ১৯ বলে ২৪ রান করে। ১টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। ওমরকে এরপরের ব্যাটাররা খুব বেশি সহযোগিতা করতে পারেননি। ওমর আউট হওয়ার সাথে সাথে পাইরেটসের ইনিংসেরও যবনিকা ঘটে। অর্ধশতক হাঁকানো ওমর হাসান সৈকতের বলে আউট হয়ে ফেরেন। ওমর ৮০ বল খেলে ৫৩ রান করেন। ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। 

আবাহনীর পক্ষে আবু বক্কর জীবন ৩৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান আবুল হাসনাত, শোয়াইব চৌধুরী, তাজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং মোহাম্মদ হান্নান। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীর টপ এবং মিডল অর্ডার মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। পাইরেটসের সাজিদ, শাহাদাত, বেলাল, রুবেলের বোলিং তাদের স্বস্তি দেয়নি। শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী। দলের দুই ওপেনার তাজুল ৪ এবং সাইদুল ০ সাজিদের বলে আউট হয়ে ফেরত যান। শোয়াইব চৌধুরী ২০, মো. হান্নান ২৪ এবং জাহিদ জাভেদ ২২ রান করেন এ সময়।

জাতীয় ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৪ বলে ৩২ রান করে বেলালের বলে আউট হন। এ সময় দলের রান সংখ্যা ছিল ১২৬ রান। আবু বক্কর জীবন ১৪ বল খেলে ২০ রান করে সেই বেলালের হাতেই আউট হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ১০ নম্বরে খেলতে নামা ব্যাটার মহিউদ্দিন। ৩৮ বল খেলে তিনি ৩৫ রান করলে দলের রানসংখ্যা ১৮৩ তে উন্নীত হয়। মহিউদ্দিনের আউটের পরেই থেমে যায় আবাহনীর ইনিংস। 

পাইরেটসের পক্ষে শাহাদাত হোসেন ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেটের পতন ঘটান। ২টি করে উইকেট নেন সাজিদ আবদুল্লাহ, মো. বেলাল এবং মো. রুবেল। ১টি উইকেট পান শুভাগত হোম।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন