শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেও পারেনি মুক্তিযোদ্ধা কেসি

দিপুর সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেও পারেনি মুক্তিযোদ্ধা কেসি

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে সেঞ্চুরির পর চট্টগ্রাম আবাহনীর টপ অর্ডার ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু

ফ্রেন্ডস ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আসর শুরু করেছিল মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ। দ্বিতীয় ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশী পাইরেটস অব চিটাগাংকে এক কথায় লজ্জাজনক পরাজয় উপহার দেয় তারা। কিন্তু চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সেই মুক্তিযোদ্ধা।

লিগের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে তারা হেরেছে ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে। 

মুক্তিযোদ্ধা কেসির প্রথম পরাজয়ের দিনে চট্টগ্রাম আবাহনী তুলে নিল হ্যাটট্রিক জয়।

ম্যাচ জয়ের পেছনে আবাহনীর হয়ে জাতীয় যুব তারকা শাহাদাত হোসেন দিপুর অপরাজিত সেঞ্চুরি, অধিনায়ক রিপনের টর্নেডো-টাইপ ফিফটি ও শোয়েবের স্পিন ভেল্কিতে ৫ উইকেট বড় ভূমিকা রাখে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার সাঞ্জু ও  তাজুলকে হারায় আবাহনী। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা শোয়েবকে নিয়ে আবাহনীকে ৫৪ রানের জুটি এনে দেন দিপু।

একটি করে ছক্কা-চারে ১৯ রান করে শোয়েবের বিদায়ের পর দিপুর সাথে এসে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ইমরান। তবে এরপর আবাহনীকে শক্ত ভিত এনে দেওয়া ৮৮ রানের জুটি উপহার দেন জাতীয় তারকা জহুরুল ইসলাম অমি ও দিপু। অমি ৫২ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও অপরপ্রান্তে অবিচল ছিলেন দিপু। ১২৪ বলে লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া শাহাদাত দিপু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১৩ রানে।

তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর রান তিনশ ছুঁই ছুঁই (২৮৫) রান হওয়ার পেছনে মূল কারিগর দলের অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। ৪৬ ওভার জীবনের বিদায়ের পর তিনি যখন উইকেটে নামেন তখন দলের রান ছিল ২১৯। সেখান থেকে ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেসির বোলারদের উপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দেন রিপন। মাত্র ১৭ বলে প্রিমিয়ার লিগের দ্রুততম ফিফটির দেখা পাওয়া রিপন শেষ পর্যন্ত ২১ বলে অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে। এই রান করার পথে মোট ৯ বার বলকে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। এরমধ্যে ছয়বার হাওয়ায় ভাসিয়ে।

মুক্তিযোদ্ধা কেসির পক্ষে রাশেদুল বারি, বাপ্পা ও রাজিব নেন ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে মুক্তিযোদ্ধাকে ভালো শুরু এনে দেন ইমন ও জসিম। এ দুজন ৫.৪ ওভারে দলকে ৩৫ রানের জুটি এনে দেন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা কেসির মিডলঅর্ডার। তবে জসিমউদদীন ও রোওয়ান চেষ্টা করেছিলেন একটি প্রতিরোধ গড়ার জন্য। কিন্তু আবাহনীর বোলিং আক্রমণের সামনে সেটি যথেষ্ট ছিল না।

ফলে ৩৯.১ ওভারে মাত্র ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা কেসি। জসিম দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এছাড়া, রোওয়ান ৩৭, মুরাদ ২৭, ফখরুল ১৪, ইমন ১৩ রান করেন।

চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে শোয়েব ২১ রানে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া, হাবিব, রিপন, রায়হান ও হান্নান নেন ১টি করে উইকেট।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন