ব্রাজিল ৩-০ ঘানা, গোল তিনটি পেয়েছেন দু’জন; মারকিনিয়োস আর রিচার্লিসন। স্কোরশিট বলবে, তার গোল ছাড়াই ব্রাজিল ঘানার বিপক্ষে ছড়ি ঘোরাল। তবে স্কোরশিট এটা বলবে না, সেই ম্যাচের অবিসংবাদিত সেরা খেলোয়াড়টা নেইমারই ছিলেন। তার দারুণ নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোর প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়টা তুলে নিল ব্রাজিল।
ঘানার বিপক্ষে ব্রাজিল সবশেষ খেলেছে সেই ২০১১ সালে। ১১ বছর আগের সেই ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল ১-০ গোলে। আর সামগ্রিক হিসেবেও ব্রাজিলকে কখনো হারাতে পারেনি ঘানা, পারেনি নিদেনপক্ষে একটা ড্র আদায় করে নিতেও। সোনালি যুগের ঘানা যেটা পারেনি, সেটা যে বর্তমান ঘানাও পারবে না, সেটা একরকম অনুমিতই ছিল। মাঠের খেলায় পাওয়া গেল তারই প্রমাণ।
শুরুর গোলে অবশ্য নেইমারের অবদান নেই। ৯ মিনিটে রাফিনিয়ার নেওয়া কর্নারে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন মারকিনিয়োস। ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ব্রাজিল, ডান পাশ থেকে ক্রস করেন নেইমার, রিচার্লিসন করেন গোল।
৪০ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের ফ্রি কিকে করা রিচার্লিসনের হেডার গিয়ে আছড়ে পড়ে ঘানার জালে। ৩-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
বিরতির পর ফিরে ব্রাজিল কোচ তিতে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের পরখ করেছেন। থিয়াগো সিলভার বদলে গ্লেইসন ব্রেমার, রিচার্লিসনকে তুলে মাতেউস কুনিয়া, ক্যাসেমিরোর জায়গায় ফ্যাবিনিও, ভিনিসিয়াসকে তুলে নিয়ে অ্যান্টোনি, আর রাফিনিয়ার বদলে নামান রদ্রিগোকে। গোলের সুযোগ তাতে কিছুটা কমেছে, তবে তাদের বাজিয়ে দেখার তৃপ্তিটা ঠিকই পেয়েছে ব্রাজিল।
প্রাণভোমরা নেইমারের দারুণ ফর্ম, দাপুটে জয়, বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখা… বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারত ব্রাজিল? নিজেদের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও মাঠে নামবেন নেইমাররা। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচেও প্রাপ্তির ঝুলিটা এভাবেই পূর্ণ হোক, সেটাই নিশ্চয়ই চাইবে ব্রাজিল!