পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচটি। কখনো জয়ের পাল্লা পাকিস্তানের দিকে আবার কখনো ভারতের দিকে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উপস্থিত প্রায় লাখ দর্শক তখন দারুণ উৎকণ্ঠায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ভারতই জিতে নেয়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। কোহলি-বীরত্বে সেটাই তুলে নেয় ভারত, মহারণে শেষ হাসি হাসে চার উইকেটের ব্যবধানে।
শেষ ওভারে করা নওয়াজের প্রথম বলেই মিস টাইমিংয়ে ক্যাচ আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। পিচ কাভারের নিয়ম এখন না থাকায় দিনেশ কার্তিককে বল ফেস করতে হয়। দিনেশ এক রান নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক দেন। তৃতীয় বলে কোহলি দুই রান নেন। চতুর্থ বলটি হাই ফুলটসে নো হয় এবং কোহলি ছক্কা মারেন। পাকিস্তান সেই নো নিয়ে প্রতিবাদ করে। পরের বল ওয়াইড হয়। ফলে ফ্রি হিট থেকে যায়। চতুর্থ বলে কোহলি বোল্ড আউট হলেও তিন রান হয়।
নাটক সেখানেও শেষ হয়নি, শেষের আগের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরলেন দিনেশ কার্তিক। শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২ রান। নওয়াজ সেখানে করে বসলেন ওয়াইড, বাকি এক রান নতুন ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের তুলে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি। তাতেই ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পায় ভারত।
১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ভারতের। ১০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা সাজ ঘরে ফেরেন। ছয় ওভারের মধ্যে আরো এক উইকেট হারায় ভারত। পাওয়ারপ্লেতে ভারতের সংগ্রহ দাড়ায় ৩ উইকেট ৩১ রান। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর প্রথম বলেই আরেক উইকেট হারায় ভারত। ৩১ রানে খুইয়ে বসে চার উইকেট। পড়ে যায় চাপেও। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৩ রানের জুটি গড়েন ভিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। অধিনায়ক বিরাট কোহলি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দুর্দান্ত অর্ধশত হাকান। তাকে সঙ্গ দেওয়া হার্দিক পান্ডিয়া করেন ৪০ রান।