শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রাদার্সের কাছে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারলো ইস্পাহানি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

০২ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন

ব্রাদার্সের কাছে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারলো ইস্পাহানি

প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের করা ১৬০ রান পাড়ি দিতে গিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল শিরোপা প্রত্যাশী ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বিশাল জয়ে নিজেদের ‘জাত’ চেনাল ব্রাদার্স। তাদের কাছে ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাব হেরেছে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে। 

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) আয়োজিত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এটি ব্রাদার্স ইউনিয়নের টানা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, পর পর দুম্যাচে হারলো ইস্পাহানি। 

শনিবার (২ মার্চ) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকালে টসে জিতে নিজেরাই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাদার্স। কিন্তু ম্যাচের আয়ু ৩ ওভার হওয়ার আগেই তারা হারিয়ে ফেলে দু ওপেনার সাদিকুর রহমান ও কফিল উদ্দিনকে। এরপর শামসুদ্দিন বাপ্পা ও শিশির দাশ দুজন মিলে ৪২ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে, ১২ রানের ব্যবধানে এ দুজনের বিদায়ের পর চাপে পড়ে যায় ব্রাদার্স। 

এরমধ্যে একবার জীবন পেয়ে বেশ হাতখুলে খেলেন বাপ্পা। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে তিনি ৩৫ বলে ৩ চার আর ২ ছয়ে করেন ৩০ রান। দলে শিশিরের অবদান ১৬ রান (৩৮ বলে)। এ দুজনের বিদায়ের পর পর দ্রুত বিদায় নেন ব্রাদার্স অধিনায়ক কাজী কামরুলও।

৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ব্রাদার্সের ইনিংসের হাল ধরেন ব্রাদার্সের দুই কোটার খেলোয়াড় আল আমিন জুনিয়র ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এ দুজন পরবর্তী ২০ ওভারে আর কোন উইকেট পড়তে দেননি। এ সময়ে তাদের জুটি ৮৭ রান এনে দেয় দলকে। ৯০ বলে অর্ধডজন চারের সাহায্যে ৫৪ রান করে আল আমিন বিদায় নিলে ভাঙে এ জুটি। 

শেষের দিকের ব্যাটাররা শুরুর সাথে মিল রেখে দ্রুত আসা-যাওয়া করলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের রান ‘ধরা ছোঁয়ার বাইরে’ নিয়ে যাওয়া হয়ে উঠেনি। তবে তাদের ভাণ্ডারে ২২৪ রান যোগ করার পেছনে মূল কারিগর জাতীয় তারকা বিপ্লবের। তিনি ৮৩ বল খেলে ৬ চার আর ১ ছয়ে ৬৪ রান করেন। 

ইস্পাহানির হয়ে শহীদ আব্দুল্লাহ ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। মামুন আর হাফিজ নেন ২টি করে উইকেট। 

ব্রাদার্সের দেয়া ২২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সেটি ‘ধরা ছোঁয়ার বাইরে’ পরিণত করতে বেশি সময় নেননি ইস্পাহানির ব্যাটাররা। তাদের ১১ ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র সাইদুল ইসলাম তুহিন দু অঙ্কের ঘর (৪১ বলে ২১ রান) পার হতে পারেন। বাকি ব্যাটারদের রান একসাথে করলে সেটি টেলিফোন ডিজিটের মতোই দেখায়। ফলে মাত্র ৬৫ রানে গুটিয়ে যায় ইস্পাহানি এসসি। 

ইস্পাহানির ১০টি উইকেট সমান ভাগাভাগি করে নেন ব্রাদার্সের পেসার ও স্পিনাররা। পেসার আরমান হোসেন ৩টি ও এএসএম নকিব ২টি এবং বাঁহাতি স্পিনার শাখাওয়াত হোসাইন ৩টি, অফ স্পিনার আল আমিন ও সাদেকুর রহমান নেন ১টি করে উইকেট। 
 


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন