শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাদার্সের টানা দ্বিতীয় জয়ে বাধা হতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২১ অপরাহ্ন

ব্রাদার্সের টানা দ্বিতীয় জয়ে বাধা হতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ম্যাচ রেফারি হিসেবে অভিষেক হয় সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার রবিউল হক চৌধুরীর

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে টানা দ্বিতীয় জয় থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি। ব্রাদার্সের করা ২৪০ রান তাড়া করতে গিয়ে তারা থেমে যায় ১৭২ রানে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২৬৭ রান করেও ইস্পাহানির কাছে টাই করে পয়েন্ট খুইয়েছিল বন্দর।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়। ব্রাদার্সকে ১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেওয়ার পর বিদায় নেন ১২ রান করা আবু হানিফ। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অপর ওপেনার মঈনুল হোসাইনের সাথে এসে যোগ দেয় প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় ৬৮ বলে ৩৯ রান করে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন মঈনুল। তার বিদায়ের পর উইকেটে এসেই ফিরে যান শিশির দাশও। এরপর মার্শাল আইয়ুব ও প্রান্তিক নওরোজ মিলে ব্রাদার্সকে ৪৬ রানের জুটি এনে দেন। 

দলীয় ১৪৩ রানের সময় সাজেদুল আলম রিফাতের প্রথম শিকার হয়ে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন মার্শাল। এরপর জাতীয় দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ এসে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও অবিচল থেকে শতক তুলে নেন প্রান্তিক নওরোজ। ইনিংস শেষের ২ ওভার বাকি থাকতে নওরোজ আউট হয়ে যান ১১৭ রান করে। তার ১৩০ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও ১টি ছয়ে। ততক্ষণে ব্রাদার্সের রান ছাড়িয়ে যায় দুইশোর ঘর। শেষ দিকে আর কেউ বলার মতো রান না পেলে ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ব্রাদার্স নিজেদের ঝুলিতে ২৪০ রানের পূঁজি সংগ্রহ করে। 

বন্দরের হয়ে রিফাত, মঈন খান ও মঈনুল প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া শরীফ, ইনজামাম ও রতনের শিটে যোগ হয় ১টি করে উইকেট। 

জবাব দিতে নেমে ব্রাদার্সের বোলার আরমানের তাণ্ডবে ২ ওভারেই ২ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম বন্দর। এরপর ব্রাদার্সের বোলারদের সামনে আর কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি। ওপেনার নাজিম উদ্দিন ৩৬ বলে ৩২ রান, মাঈনুদ্দিন রুবেল ৭২ বলে ২৬ এবং তারেক কামাল ৩২ বলে ২৪ রান করে ব্রাদার্সের রান টপকাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। তবে আট নম্বরে রতন দাশ সত্যিকারের লড়াই চালিয়েছিলেন। কিন্তু যোগ্য কোন সঙ্গী না পাওয়ায় ৪৯ বলে ৪ চার আর ৩ ছয়ে ৪৮ রান করেও পরাজয়ের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রতনকে। 

ব্রাদার্স ইউনিয়নের পক্ষে আরমান ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ নেন ২ উইকেট। 

ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম বন্দরের খেলায় ম্যাচ রেফারি হিসেবে অভিষেক হয় চট্টগ্রামের সন্তান সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার রবিউল হক চৌধুরী রবির। 


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন