লিওনেল মেসির সম্ভবত এখন একটাই কাজ। সতীর্থদের দিয়ে গোল করানো। কখনো কিলিয়ান এমবাপ্পে, কখনো নেইমার, গোল বানিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য নেই পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। পিএসজিতে তাঁর ভূমিকাটাই এখন এমন।
এই তো আজ নঁতের বিপক্ষে পিএসজির ৩-০ গোলের জয়ে দুটি গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুটি গোলই বানিয়ে দিয়েছেন মেসি। পিএসজির অন্য গোলটি নুনো মেন্দেসের।
৭ সেপ্টেম্বর জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পিএসজির এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান। ওই ম্যাচ সামনে রেখেই আজ একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনেন পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। দারুণ ছন্দে থাকা নেইমারকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান, আক্রমণে এমবাপ্পে-মেসির সঙ্গী হন পাবলো সারাবিয়া।
নেইমারও নেমেছেন পরে, ৬৩ মিনিটে এমবাপ্পের বদলি হিসেবে। ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারিত হয়ে গেছে।
১৮ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকে প্রথম গোলটা করেন এমবাপ্পে। ২৪ মিনিটে লেফট ব্যাল ফাবিও লাল কার্ড দেখায় ১০ জনের দল হয়ে যায় নঁতে। ম্যাচটা তখনই কঠিন হয়ে যায় ওদের জন্য। তারপরেও বিরতির আগে আর গোল খায়নি নঁতে।
৫৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে পিএসজি। আবার সেই মেসির পাস, এমবাপ্পের গোল। এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে লিগে ৫ ম্যাচ খেলে এ নিয়ে ৭ গোল হলো এমবাপ্পের। তাঁর সতীর্থ নেইমারও করেছেন ৬ ম্যাচে ৭ গোল। লিগ ওয়ানে সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন পর্যন্ত এ দুজনই।
নেইমার অবশ্য এমবাপ্পের বদলি নামার পরপরই গোল পেতে পারতেন। কিন্তু তাঁর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি শটে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন নুনো মেন্দেস।
আপাতত ফরাসি লিগে ৬ ম্যাচে ৫টি করে জয় ও ১ টি করে ড্র পিএসজি ও মার্শেইয়ের। দুই দলেরই পয়েন্ট ১৬। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে পিএসজি, দুইয়ে মার্শেই।