রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশে সোমবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে না দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারকে কি বাদ দিয়েছে আরসিবি? জবাবটা নিজেই দিয়ে দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাচ না খেলেও সোমবার হারার পর সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয় ম্যাক্সওয়েল। সেখানে অসি এই ক্রিকেটার জানান, তিনি নিজেই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বিশ্রাম চেয়ে নেন। কিন্তু কত দিনের ছুটি? সেটারও জবাব দিয়েছেন তিনি। সেই উত্তরটা বেশি ভয়ের এবং চিন্তার।
তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত। আমি শেষ ম্যাচের পর ফাফ (ডু প্লেসি) এবং কোচের কাছে গিয়েছিলাম এবং বলেছিলামে যে, আমি মনে করি, দলের জন্য অন্য কাউকে দিয়ে খেলানোর সময় এসেছে। আগেও আমি এই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। আমি যদি এখন খেলা চালিয়ে যাই তাহলেও আরও গভীর গর্তে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমার জন্য একটি ভালো সময় নিজেকে কিছুটা মানসিক এবং শারীরিক বিরতি দেওয়ার, শরীর ঠিকঠাক করার।’
তবে আইপিএল থেকে সাময়িক বিরতি নিলেও ঠিকই দলের প্রয়োজনে আবারও ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। বিরতি কাটানোর পর দলের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে শারীরিকভাবে ফিট হয়ে বেঙ্গালুরুর সাথে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন অজি তারকা। ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘যদি আমাকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময় আবার ফিরে আসতে হয়, আমি আশা করি- সত্যিই ভালো মানসিকতা এবং শারীরিকভাবে ফিট হয়ে ফিরে আসতে পারবো। দলের জন্য ভালো প্রভাবও রাখতে পারবো।’
দারুণ ছন্দে থেকেই আইপিএলে এসেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। নভেম্বরের শুরু থেকে ১৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ৪২.৪৬ গড় ও ১৮৫.৮৫ স্ট্রাইকরেটে ৫৫২ রান করেন তিনি। যেখানে দুটি সেঞ্চুরিও আছে। কিন্তু আইপিএলে আসতেই বদলে গেল ম্যাক্সওয়েলের রূপ।
অসি অলরাউন্ডার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনো কখনো এমনটা হতে পারে। এটা পরিবর্তনশীল একটা খেলা। প্রথম ম্যাচের কথাই যদি বলি, বল কিন্তু আমার ব্যাটের মাঝ বরাবর লেগেছিল। এরপরও বল কিপারের হাতে গেছে। রান করার সুযোগ আছে দেখে আমি একটু আগেই শট খেলে ফেলেছিলাম। সময় আমার পক্ষে থাকলে বল (কিপারের) গ্লাভসের অনেক দূর দিয়ে যেত। প্রথম বলেই আমি বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম। টুর্নামেন্টের শুরুটাও ভালো হতো। কিন্তু সেটা হয়নি।’