টি-টোয়েন্টিতে ১২০ বলে ১১২ রান অধুনা কোন ব্যাপারই নয়। মারকুটে সব ব্যাটারে সাজানো ডাচ ব্যাটিং লাইন আপের কাছে সেটি অনেক বেশি সহজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যকেই স্কট এডওয়ার্ডসদের কাছে পাহাড়সম বানালো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলাররা। এক পর্যায়ে ৭৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ডাচদের শেষ পর্যন্ত পথ দেখিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। তার সাবধানী ব্যাটিংয়ে এক বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস।
রোববার জিলংয়ের জিএমএইচবিএ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আরব আমিরাত। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে এ ম্যাচে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করে আমিরাতের ব্যাটাররা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান করে মরুভূমির দেশটি।
রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে সপ্তম ওভারে কাটা পড়েন চিরাগ সুরি। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কাশিফ দাউদ। ১৪ বলে ১৫ রান করে বোল্ড হন টিম প্রিংগেলের বলে। ৪৭ বলে ৪১ রানের ধীর ইনিংস খেলে মোহাম্মদ ওয়াসিম আউট হন ক্লাসেনের বলে।
উইকেট হাতে থাকতেও বাস ডি লিডি ও ক্লাসেনের তোপে শেষের দিকে রান তুলতে পারেনি আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। প্রথম চার ব্যাটারের পর আর কেউই পৌঁছাতে পারেনি দুই অঙ্কে। আর তাতে ১১ রানে থামে এশিয়ান দেশটির ইনিংস।
১১২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে বিক্রমজিত সিংয়ের দ্রুত বিদায়ে কোনো আঁচ আসতে দেননি আরেক ওপেনার ম্যাক্স। ১৮ বলে ২৪ রান করে দলকে জয়ের রাস্তায় এগিয়ে রাখেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
দলীয় ৪১ রানে ম্যাক্স ফেরার পর রানের চাকা কিছুটা ধীরে চলতে শুরু করে। তাতেও রক্ষা হয়নি ডাচ মিডল অর্ডারের। ডাচদের দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৯, তখনই দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ডি লিডিকে ফেরান আমিরাত অধিনায়ক রিজওয়ান। এরপর ১৭ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
তবে দলকে পথ হারাতে দেননি অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। প্রিংগেলের সঙ্গে ২৭ ও ভ্যান বিকের সঙ্গে ৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ১৯ বলে ১৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এডওয়ার্ডস।