একজন ফরোয়ার্ড একটি ম্যাচে সম্ভাব্য যা যা করতে পারেন তার সব কিছুর পরিপূর্ণ ‘প্যাকেজ’ এর দেখা মিললো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছ থেকে। একটি ওভারহেড কিক, একটি পেনাল্টি শট, দুটি গোল, একটি অ্যাসিস্ট—একজন ফরোয়ার্ডের জন্য একটা ম্যাচ থেকে এর চেয়ে বেশি কী চাই!
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক এমন পারফরম্যান্সই করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৩৯ বছর বয়সী তারকার দুর্দান্ত নৈপুণ্যের দিনে পর্তুগাল জিতেছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। যে জয় রোনালদোকেও তুলে দিয়েছে বড় এক রেকর্ডে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ১৩২ ম্যাচজয়ী ফুটবলার এখন রোনালদো, পেছনে পড়ে গেছেন স্পেনের সের্হিও রামোস।
পোর্তোর দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামে হওয়া নেশনস লিগ গ্রুপ এওয়ানের ম্যাচটিতে রোনালদো ছাড়াও পর্তুগালের হয়ে গোল করেছেন রাফায়েল লিয়াও, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও পেদ্রো নেতো। ৫৯ মিনিটে লিয়াও গোলের খাতা খোলার পর ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ‘পানেনকা’ শটে করা গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো।
ম্যাচে আল নাসর তারকার সেরা মুহূর্তটি আসে ৮৭ মিনিটে, দলের পঞ্চম গোলের সময়। ডান পাশ থেকে ভিতিনিয়া খানিকটা উঁচু করে বল বাড়ান ছয় গজ বক্সের ভেতরে। বলের চেয়ে কিছুটা সামনে এগিয়ে যাওয়া রোনালদো শূন্যে ভেসে ডান পায়ের শটে দূরের কোণ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫-এ, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৯১০-এ। দুটোই তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর থেকে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।
ম্যাচে রোনালদোর দুটিসহ পর্তুগালের পাঁচটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই অর্ধের তুলনা টেনে ম্যাচ শেষে পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজ বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি, সে দিক থেকে প্রথমার্ধ খুব বাজে ছিল। আমরা মনোযোগ হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল আমার দেখা এখন পর্যন্ত সেরা। আমরা মানসিকতা বদলে নিয়ে খেলায় মনোযোগ বাড়িয়েছে, পারস্পরিক সহায়তা বাড়িয়েছি। পোল্যান্ডকে খেলতেই দেইনি।’
পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। গ্রুপ এওয়ানে পর্তুগালের শেষ ম্যাচ ১৫ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।