২৩তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে টায়ার-২ (দ্বিতীয় স্তর) চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২৪তম আসরে টায়ার-১ এ নাম লেখায়। কিন্তু এবারের আসরে গতবারের পারফরম্যান্সের সেই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি চট্টগ্রামের পারফরম্যান্সে।
প্রথম দু রাউন্ডে বাজেভাবে হারার পর তৃতীয় রাউন্ডে বগুড়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ভেসে যায় ঢাকার বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে এসে আবারও পরাজয় চোখ রাঙানি দিয়ে যায় চট্টগ্রামকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেটের বিরুদ্ধে ফলোঅনে পড়ে শেষ দিনে এসে ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ বাঁচায় চট্টগ্রাম।
চারদিনের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সিলেট প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮১ রানের বড় সংগ্রহ করে। দলের হয়ে অধিনায়ক ও মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকির হাসান ৩১৮ বলে হাঁকান ২১৩ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৮টি চার ও এক জোড়া ছয়ে। এছাড়া সিলেটের হয়ে তৌফিক তুষার ৬৩ বলে ৬৮ রান, আসাদুল্লাহ গালিব ১৭৩ বলে ৬৭ রান, ইমতিয়াজ ৬৭ বলে ৩৯ রান করেন। চট্টগ্রামের হয়ে টানা ৫ উইকেটের দেখা পান বাহাতি স্পিনার কক্সবাজারের ছেলে হাসান মুরাদ।
জবাবে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের ইনিংস থেমে যায় ২৩৭ রানে। দলের হয়ে ওয়ান ডাউনে নেমে পারভেজ হোসাইন ইমন ২৪৩ বল মোকাবেলা করে ৯২ রান করেন। এছাড়া ওপেনার পিনাক ঘোষ ৫৮ রান করেন। সিলেটের তারকা পেসার আবু জায়েদ রাহী নেন ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রানে পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রামকে ফলোঅনে ফেলে আবারও ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার পিনাক ঘোষ ও জসিমউদ্দিন। এ দুজন উদ্বোধনী জুটিতে ৯৮ রান সংগ্রহ করে। ১০২ বলে ৬২ রান করা পিনাকের আউটের মধ্য দিয়ে এই জুটি ভাঙে। পিনাকের বিদায়ের পর দলের রানকে একই জায়গায় রেখে বিদায় নেন অপর ওপেনার জসিমউদ্দিনও (৩০ রান)।
এরপর চট্টগ্রামের দুই সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার পারভেজ হোসাইন ইমন ও শাহাদাত হোসাইন দিপু আবারও প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। প্রথম ইনিংসে নার্ভাস নাইনটিজে আউট হওয়া ইমন দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪১ রান। অন্যদিকে দিপু দৃঢ়চিত্তে ১৮৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন।
ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করার পর রেজাল্টের আর কোন সম্ভাবনা না থাকায় দুদলের অধিনায়ক ড্র মেনে নেন।
পঞ্চম রাউন্ডে বিকেএসপি গ্রাউন্ড-৪ এ রংপুরের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। প্রথম দেখায় রংপুরের সাথে ৭ উইকেটে ম্যাচ হেরেছিল চট্টগ্রাম।
ডিএস