রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে ‘উড়ন্ত’ কলম্বিয়া

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

১১ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে ‘উড়ন্ত’ কলম্বিয়া

সর্বশেষ কবে ম্যাচে হেরেছিল সেটি ভুলে যাওয়ার কথা কলম্বিয়ার। টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত অবস্থায় তারা সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ের। অপরাজিত ম্যাচের সংখ্যা ২৮-এ নিয়ে গিয়ে কলম্বিয়া এখন ফাইনালে। যেখানে আগেরদিন জায়গা করে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। 

শালোর্টের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ১–০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ১০ জনের কলম্বিয়া। ৩৯ মিনিটে কলম্বিয়ার হয়ে গোলটি করেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জেফারসন লেরমা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কলম্বিয়ান রাইটব্যাক দানিয়েল মুনোজ।

এ জয়ে ২৩ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল কলম্বিয়া। বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার সকাল ৬টায় মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে নেস্তর লরেঞ্জোর দল।

কলম্বিয়া জয়সূচক গোলটি পেয়েছে কর্নার থেকে। অধিনায়ক হামেস রদ্রিগেজের কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন ক্রিস্টাল প্যালেস সেন্টারব্যাক লেরমা। ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনার পর কোপা আমেরিকার এক আসরে হেডে ন্যূনতম ৫ গোল করল কলম্বিয়া। ১৯৯৩ কোপায় শিরোপা জয়ের পথে হেড থেকে ৬ গোল পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকার চলতি আসরে এ নিয়ে ৬টি গোল বানালেন রদ্রিগেজ। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের পর লাতিন আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো বড় টুর্নামেন্টে ৬টি গোল বানানোর কীর্তি গড়লেন সাও পাওলো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কোপা আমেরিকার এক আসরে সর্বোচ্চ গোল বানানোর রেকর্ডও এখন রদ্রিগেজের। ২০২১ কোপায় আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানোর পথে ৫টি গোল বানিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই কীর্তি পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়লেন কলম্বিয়ান তারকা।

কলম্বিয়া সর্বশেষ হেরেছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আর্জেন্টিনার কাছে। তারপর টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দলীয় রেকর্ড গড়ল সর্বশেষ ২০০১ সালে কোপার ফাইনাল খেলা কলম্বিয়া। সেবার ঘরের মাঠ বোগোতায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে মেক্সিকোকে ১–০ গোলে হারিয়ে কলম্বিয়াকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন হুয়ান কার্লোস রামিরেজরা।

তবে কলম্বিয়ার জন্য আজ ফাইনালে ওঠার কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলেন মুনোজ। উরুগুয়ের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মানুয়েল উগার্তেকে কনুই মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। তখন প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল। ম্যাচের বাকি সময়ে ১০ জন নিয়ে কলম্বিয়া ভালো লড়াই করেছে।

মার্সেলো বিয়েলসার উরুগুয়ে হতাশ হতে পারে এই ভেবে যে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলা কলম্বিয়ার বিপক্ষে তারা গোল করতে পারেনি। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দারউইন নুনিয়েজ ও বদলি নামা লুইস সুয়ারেজ। একবার কলম্বিয়ার পোস্টেও বল মেরেছেন সুয়ারেজ। কলম্বিয়াও উরুগুয়ের ক্রসবারে বল মেরেছে।

প্রায় ৭৫ হাজার আসনের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের বেশির ভাগই ছিলেন কলম্বিয়ার সমর্থক। বিপুল পরিমাণ সমর্থন পেয়ে প্রথমার্ধে চড়াও হয়েই খেলেছে কলম্বিয়া। দূরপাল্লার শটে উরুগুয়ে গোলকিপার সের্হিও রোচেতের পরীক্ষা নেন কলম্বিয়ার রিচার্দ রিওস।

৬২ মিনিটে কলম্বিয়া কোচ লরেঞ্জো অধিনায়ক রদ্রিগেজকে তুলে নেওয়ার পর উরুগুয়ে বেশ কয়েকটি আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে। যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছে দুই দলই। বদলি নামা কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার মাতেয়াস ইউরিব এ সময় বল পোস্টে মারেন।

ম্যাচ শেষে হওয়ার পর মাঠের পাশে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন