৩০ আগস্ট পর্দা উঠতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের ষোড়শ আসরের। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত হবে এবারের আসর। যেখানে পাকিস্তানে হবে কেবল চারটি ম্যাচ। বাকি ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। এবারের আসরটি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে।
চলুন একনজরে দেখে আসি পরিসংখ্যানের আলোকে এশিয়া কাপের আসর।
সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী : এখন পর্যন্ত হওয়া এশিয়া কাপের ১৫ আসরের ভেতর সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। শ্রীলঙ্কা জয় ছয়বার, বাকি দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।
সর্বোচ্চ স্বাগতিক দেশ : এশিয়া কাপের সবচেয়ে বেশি পাঁচবারের আয়োজক বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর দিয়ে স্বাগতিক দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের। লম্বা বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ সালে টানা তিন আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয় পাওয়া দল : এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে পরিচিত টুর্নামেন্টটির ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের জয় ৩৪টি ম্যাচে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ম্যাচ জিতেছে ৩১টি। পাকিস্তান ২৬টি। বাংলাদেশের এশিয়া কাপে জয় ৭টি আর আফগানিস্তানের তিনটি।
সর্বাধিক রান : এশিয়া কাপ ওয়ানডে আসরে সবচেয়ে বেশি রান সাবেক শ্রীলঙ্কান ব্যাটার সানাৎ জয়সুরিয়ার। ২৫ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২২০ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৪ ম্যাচ খেলা সাবেক লঙ্কান দলপতি কুমার সাঙ্গাকারার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ হাজার ৭৫ রান। আর ভারতের সাবেক টপ অর্ডার শচিন টেন্ডুলকার করেন ৯৭১ রান।
সর্বাধিক সেঞ্চুরি : এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার সানাৎ জয়সুরিয়ার। তিনি এই টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৬টি।
সর্বাধিক উইকেট শিকারি : এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটের সব রেকর্ড যেন লঙ্কানদেরই। সর্বাধিক রান সংগ্রাহক, সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ানের মতো সর্বাধিক উইকেটশিকারিও একজন লঙ্কান। কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরণ এই টুর্নামেন্টে ২৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। তার স্বদেশী সাবেক লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলেই পান ২৯ উইকেট।