অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শেষ দুটি জায়গা পূরণ করল জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস।
কাল বুলাওয়েতে বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে নিজ নিজ ম্যাচ জিতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে দেশ দুটি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো খেলবে জিম্বাবুয়ে। পঞ্চমবারের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেল নেদারল্যান্ডস।
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে পাপুয়া নিউগিনিকে ২৭ রানে হারায় জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাভা–ক্রেগ আরভিনদের প্রতি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন কোচ ডেভ হটন।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে কোচের আহ্বানে সাড়া দেন চাকাভা–মাদেভেরেরা। ২৯ বলে ৪২ রান করেন ওয়েসলি মাদেভেরে। চাকাভার ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ৩০। দলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছে দলীয় প্রচেষ্টার উদাহরণ রাখেন। বোলিংয়েও তাই। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক আরভিন আট বোলার ব্যবহার করেছেন। শুধু ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং রায়ান বার্লই উইকেট পাননি।
পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো পাপুয়া নিউগিনিকে টেনে তুলেছিলেন টনি ইউরা। ৩৫ বলে ৬৬ রান করা ইউরা ১৫তম ওভারে আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৬১ রান দরকার ছিল পাপুয়া নিউগিনির। কিন্তু শেষ দিকে মারকুটে ব্যাটসম্যান না থাকায় ৮ উইকেটে ১৭২ রানে থেমে যায় পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস।
বুলাওয়ে অ্যাথলেটিক ক্লাবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডস টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে বাস ডি লিডের বীরত্বে। যুক্তরাষ্ট্রের ছুড়ে দেওয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ডাচ্ ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় পারফরম্যান্সের জন্ম দেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র ৫ ওভারে ৫১ রান তুলে ফেলেছিল। কিন্তু ডি লিড তাঁর মিডিয়াম পেস দিয়ে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রানের চাকা আটকে দেন। একটি ক্যাচ এবং রান আউটও করেন ২২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে থেমেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাড়া করতে নেমে ডাচরা ৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে সেই ডি লিডের কল্যাণেই। ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ৬৭ বলে ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডি লিড। প্রথম ওভারেই ওপেনার স্টিভেন মাইবার্গ আউট হওয়ার পর উইকেটে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ২৬ রান করেন অধিনায়ক স্কট এডয়ার্ডস।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে জায়গা নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ভারত, আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মোট ১৬ দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।