ম্যাচের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করতে চান তিনি। নিজের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন রাফিনহা। নিজের প্রথম ম্যাচেই লক্ষ্যভেদ করলেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।
রোববার বাংলাদেশ সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রীতি এল ক্লাসিকো ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। রাফিনহার করা একমাত্র গোলেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।
জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো বার্সেলোনার। কিন্তু রীতিমতো দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। বার্সার একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়ে রিয়ালকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন এ বেলজিয়ান তারকা।
ম্যাচ রিপোর্ট
খাতা-কলমে লেখা ছিল এটা শুধুমাত্র একটি প্রি-সিজন ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। তবে মাঠের খেলায় দেখা যায়নি তার ছিটেফোঁটাও। ফুটবল দিয়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ তো চলেছেই, শারিরীক শক্তির লড়াইও কম হয়নি। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বার্সেলোনা।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে প্রি-সিজন ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। তবে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে গোল হতে পারতো অন্তত হাফ ডজন!
বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত দ্বৈরথগুলোর একটি। আমেরিকার লাস ভেগাসে অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই দেখতে গ্যালারি ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ। দুই দলের শুরুর একাদশটাও ছিল সম্ভাব্য সেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে দুই দল। তবে প্রথম ২০ মিনিটে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের ২৭ মিনিটে বার্সা সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই মৌসুমেই দলে যোগ দেয়া রাফিনহা। দারুণ এক শটে রিয়ালের জালে বল জড়ান তিনি।
রিয়াল ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবার ভুল পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনহা। মাত্র ৪ দিন আগেই তিনি বলেছিলেন, রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে গোল করতে চান। সেই কথাই যেন রাখলেন এই ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়রাই হাতাহাতিতে জড়ায়। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বেশ ঠান্ডা মাথায় সামাল দেন রেফারি। যার ফলে বিষয়টি খুব বেশি বড় হয়ে গড়ায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ অনেকটা পরিবর্তিত একাদশ মাঠে নামায়। তবে এবারও বার্সাই দাপট দেখিয়েছে বেশি। দলটির খেলোয়াড়দের একেরপর এক শট আটকে রিয়ালকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন কর্তোয়া। অন্যথায় স্কোরলাইন হতে পারতো আরো বড়।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। প্রি-সিজন ফ্রেন্ডলি হলেও নতুন মৌসুমে নিজেদের আগমনী বার্তাটা যেন ভালোভাবেই দিল কাতালান ক্লাবটি।