পিএসজি নেইমারকে ছেড়ে দিতে পারলেই বাঁচে! হ্যাঁ, কথাটা শুনতে কেমন যেন লাগলেও এটাই সত্যি। একসময় বিশ্বরেকর্ড ফি দিয়ে যাকে দলে টেনেছিল পিএসজি, পাঁচ বছরের মাথায় তাকে ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া তারা। নেইমার শুরুতে গাইগুই করলেও শেষতক তিনিও বুঝেছেন, পিএসজিতে তার দিন ঘনিয়ে এসেছে, তাই ক্লাব ছাড়ার জন্য এখন নাকি মানসিকভাবে প্রস্তুত নেইমার। তবে এর মধ্যেই পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ বেড়ে গেছে, ১ জুলাই তার বর্তমান চুক্তির একটি ধারা সক্রিয় করায় চুক্তির মেয়াদ বেড়ে ২০২৭ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপ জানিয়েছে, পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তির একটি ধারা সক্রিয় করার মাধ্যমে সেটার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন নেইমার। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ পর্যন্ত, তবে নতুন ধারা সক্রিয় করার কারণে এখন সেটি দুই বছর বেড়ে হয়েছে ২০২৭ পর্যন্ত।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানাচ্ছে, নেইমারের এই পদক্ষেপের কারণে নাখোশ হতে পারেন পিএসজি সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি। কারণ নেইমারকে ছেড়ে দিতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে ক্লাবটি।
নেইমার বরাবরই পিএসজিতে তার চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার উপর জোর দিয়েছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ফরাসি ক্লাবটির হয়ে তার ফর্ম একেবারে যাচ্ছেতাই, তবুও প্যারিসে থেকেই আবার জ্বলে ওঠার প্রত্যয় নেইমারের। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে নেইমারের সবচেয়ে বাজে মৌসুম ছিল ২০২১-২২। ২৮ ম্যাচ খেলে এই মৌসুমে মাত্র ১৩ বার বল জালে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
মার্কা আরও জানিয়েছে, নেইমারের উচ্চ বেতনের কারণেই তাকে নিয়ে দলবদলের বাজারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পিএসজি। প্যারিসে বছরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো আয় করা নেইমারকে এত পরিমাণ বেতন দিয়ে দলভুক্ত করার সামর্থ্য ইউরোপের এলিট ক্লাবগুলোরও নেই। নেইমারও বেতন কমিয়ে অন্য ক্লাবে পাড়ি জমাতে অনিচ্ছুক।
এদিকে নেইমারকে দলে টানতে চেলসি এবং জুভেন্টাস আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে খবর ইউরোপীয় গণমাধ্যমের। তবে সে লক্ষ্যে পিএসজি বা নেইমারের সঙ্গে এখনো তারা কোনো আলোচনা শুরু করেনি।