বিতর্কিত আচরণের জন্য অস্ট্রেলিয়ান তারকা নিক কিরিয়সের জুড়ি মেলা ভার। চলতি উইম্বলডনেও তিনি করে বসলেন বিতর্কিত এক কাজ, থুতু মেরে বসলেন খেলা দেখতে আসা দর্শককে। যার ফলে এবারের উইম্বলডনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ জরিমানার মুখে পড়তে হলো তাকে।
গেল সপ্তাহে প্রথম রাউন্ডে ব্রিটেনের পল জাবের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত এক জয় তুলে নিয়েছিলেন কিরিয়স। তবে সেই ম্যাচেই দর্শকের দিকে থুতু মারার অভিযোগ ওঠে তার ওপর। এরপর তিনি নিজে তা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
তবে কিরিয়সের দাবি, তাকে সেই ম্যাচে উত্যক্ত করছিলেন সেই দর্শক। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়েই তিনি থুতু মেরে বসেন তাকে।
অজি টেনিস তারকার ভাষ্য, ‘সাধারণত আমি দর্শকদের কিছুই বলি না। তারা যদি কিছু বলে, তখন হয়তো উত্তর দিতে হয়। তবে কখনো আমি নিজে থেকে শুরু করি না বিষয়টা। পারতপক্ষে আমি এই ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করি। কিছু মানুষ আমাকে অপমান করার চেষ্টা করে, তবে নিজের সমর্থকদের সঙ্গে আমি মোটেও এমন কিছু করব না।’
সেই দর্শকের প্রতি যা করেছিলেন, তা ছিল ক্ষণিকের প্রতিক্রিয়া। কিরিয়সের কথা, ‘ম্যাচ শেষে আমি সেই দর্শকের দিকে তাকিয়েছিলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমাকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক মন্তব্য করছিলেন। তার প্রতি অবশ্য আমার কোনো ঘৃণা নেই।’
সেই ঘটনার জন্যে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না। উইম্বলডনের সর্বোচ্চ আর্থিক শাস্তিটাই নেমে এলো তার ওপর। তাকে এখন ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষকে। চলতি উইম্বলডনে এর চেয়ে বড় জরিমানা হয়নি আর কারো।
তবে কিরিয়সের ইতিহাস জানলে একে মামুলি অঙ্ক বলেই মনে হতে পারে। এর আগে ২০১৯ সালে সিনসিনাতি ওপেনে কারেন খাচানভের বিপক্ষে এক ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে র্যাকেট ছুঁড়ে মেরেছিলেন পাশে, চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন বাকবিতণ্ডায়, এরপর খেলায় ফিরে আসতেও জানিয়েছিলেন অসম্মতি। যার ফলে সেবার ১ লাখ ১৩ হাজার ডলার জরিমানার মুখে পড়েছিলেন তিনি।