দুরন্ত, দুর্দান্ত, অপরাজেয়...এভাবে আরও বেশ কিছু উপমা দিয়েও বোঝানো যাবে না কতোটা দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
লিগে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকে টানা সপ্তম জয় তুলে নেয়ার পথে আবাহনী-ঝলকে বিবর্ণ হয়ে পড়ে আগের ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় পাওয়া রাইজিং স্টার ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে তারা হারে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।
আবাহনীর ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক চট্টগ্রামের লোকাল হিরো সাব্বির হোসেন। লিগের প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সাব্বির। এরপর আর একাদশে সুযোগ মেলেনি পরের ছয় ম্যাচে। সপ্তম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েই অনবদ্য এক সেঞ্চুরি করে দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করলেন চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সাব্বির।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দলের দুই ওপেনার হান্নান ও তাজুল।
৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর মেহেদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তাজুল। তবে আউট হওয়ার আগে তিনি ৫৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। দলের রান ১০৮ হওয়ার পর মেহেদীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ৪৩ রান করা হান্নান।
এরপর আবাহনীর পুরো ইনিংস ঝুড়ে সাব্বিরনামা। ইনিংসের আয়ু অর্ধেক পার হওয়ার পর চারে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির প্রথম বল থেকেই হাতখোলে খেলতে থাকেন। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে আবাহনী এবং সাব্বিরের রান। দুইশো থেকে ৫ রান কম থাকা অবস্থায় শোয়েব আউট হলে ব্যাট করতে নামেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান আবু বক্কর জীবন।
সাব্বির আর জীবন মিলে রাইজিংয়ের বোলারদের অধিকাংশ বল আছড়ে ফেলেন মাঠের চারপাশে। মাত্র ২৬ বলে এক হালি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪৯ রান করে জীবন আউট হলেও অপরপ্রান্তে অবিচল থেকে মাত্র ৭১ বলে শতক হাঁকান সাব্বির।
পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করার পর আবাহনী চড়ে বসে ৩১৭ রানের আসরের সর্বোচ্চ চূড়ায়। সে সময় সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে। এ সময় তিনি বলকে সীমানা ছাড়া করান ১২ বার, যার মধ্যে চারবার হাওয়ায় ভাসিয়ে।
রাইজিং স্টারের হয়ে মেহেদী ও আলভি নেন ২টি করে উইকেট।
রান পাহাড় তাড়া করতে গিয়ে রাইজিং স্টার ক্লাব আলভির ৯৫ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৭২ রান এবং মুনতাসীরের ৭৫ বলে ৩ চারে সাজানো ৫০ রানের সুবাদে ২৩৫ রানে গিয়ে থামে। এই সময় মিথুন ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে রবিউল নেন ৩ উইকেট। তাজুলের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।