আসছে জুন মাসে ক্রিকেটপ্রেমীদের খুবই ব্যস্ত সময় কাটবে। যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২ জুন শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে আরও ১৮ দেশ নিয়ে মোট ২০ দলের বিশ্বকাপ মহাযজ্ঞ শুরুর আগে শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি ম্যাচ।
প্রস্তুতি হিসেবে প্রত্যেককে দুটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে আইসিসি। ইতোমধ্যে ভিন্ন চার দলের মাঝে হয়ে গেছে দুইটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ। যেখানে নেপালকে হারিয়েছে কানাডা এবং ওমান হারিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনিকে।
এবার মোট ১৬টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচের সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে আইসিসি। যার মাঝে বাংলাদেশের আছে দুইটি ম্যাচ, একটি আজ (মঙ্গলবার) রাতে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র এবং অপরটি জুনের ১ তারিখ ভারতের বিপক্ষে।
দিন তিনেক আগেই স্বাগতিকদের সঙ্গে সিরিজ হেরে বেশ সমালোচিত হয়েছে টাইগাররা। আজ রাতে সে প্রতিশোধ তো তুলতেই চাইবে শান্তরা।
খেলাটি সরাসরি কোন চ্যানেলে দেখা যাবে সেটি সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ লিটন দাসদের এদিন নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পালা। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। যদিও শেষ ম্যাচে অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। আজ লিটন ও শান্তর ফর্মে ফেরার পালা।
অফিসিয়াল স্বীকৃতি না থাকায়, এই ম্যাচে চাইলে পুরো স্কোয়াডের সবাইকে বিভিন্ন সময় মাঠে নামাতে পারবে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে আইসিসির নিয়মের শিথিলতা থাকবে। বিশ্বকাপের জন্য মূল একাদশ পরখ করে নেয়ার ক্ষেত্রে এই ম্যাচের প্রতি তাই থাকবে বাড়তি নজর।
উল্লেখ্য যে, প্রোটিয়ারা আলাদা করে ভিন্ন কোনো দলের বিপক্ষে খেলবে না প্রস্তুতি ম্যাচ। তারা নিজেদের স্কোয়াডের মধ্যেই ম্যাচ খেলে প্র্যাকটিস সেরে নিবে।
টাইগারদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ১ জুন শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। তারপর ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে টিম বাংলাদেশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে মতে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত বনাম বাংলাদেশ ব্যতীত কোনো ম্যাচই সরাসরি সম্প্রচারিত হবে না। উক্ত ম্যাচ দুটি স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক এবং হটস্টারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। হটস্টারে বিনামূল্যে লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে।