ব্যাট হাত ধ্বংসাত্মক রূপ দেখিয়েছেন বিরাট কোহলি; আর বল হাতে মরণ কামড় দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। দুই তারকার যুগলবন্দিতে আফগানদের আজ ১০১ রানে উড়িয়ে দিল ভারত। তবে জয়ের চেয়েও এই ম্যাচে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো বিরাট কোহলির রাজসিক প্রত্যাবর্তন।
যদিও এই জয়ে ভারতের কোনো লাভ হলো না। দুই দলকেই দেশের বিমানে উঠতে হবে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের গড়া রান পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরু থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ বলে স্কোরবোর্ডে কেনো রান যোগ হওয়ার আগেই উইকেট পতনের শুরু। ৩ ওভারের মধ্যে ২০ রানে নেই হয়ে যায় ৫ উইকেট! যার ৪টিই নেন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। আসরজুড়ে দুর্দান্ত খেলা আফগানদের যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন ভুবনেশ্বর-অর্শদীপ। ৬ষ্ঠ ওভারে আজমতুল্লাহ ওমরাজাইকে (১) ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর।
এরপর ইব্রাহিম জারদান আর রশিদ খান মিলে কিছুক্ষণ ব্যাট করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান। ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙেন দিপক হুদা। ইব্রাহিম জারদান ৫৯ বলে ৬৪* রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ছাড়া রশিদ খান (১৫) আর মুজিব উর রহমান (১৮) দুই অংকে যেতে পেরেছেন। আফগানরা ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১১ রানে থামে। ভারত জয় পায় ১০১ রানের বড় ব্যবধানে। ভুবনেশ্বরের পাঁচ উইকেট ছাড়াও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ, অশ্বিন আর দীপক হুদা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিরাট কোহলির বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২১২ রান তোলে ভারত। রোহিত শর্মার বদলে অধিনায়ক হওয়া লোকেশ রাহুলের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন বিরাট কোহলি। দুজনেই হাত খুলে খেলছিলেন। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫২ রান। ৩২ বলে ক্যারিয়ারের ৩২ নম্বর ফিফটি পূরণ করেন কোহলি। আর লোকেশ রাহুল ফিফটি করেন ৩৬ বলে। ১৩তম ওভারে ফরিদ আহমেদ ১১৯ রানের এই জুটিতে ভাঙন ধরান। ৪১ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৬২ রান করে নাজিবুল্লাহ জারদানের তালুবন্দি হন লোকেশ রাহুল।
এরপর সূর্যকুমার যাদব এসে ফরিদ আহমেদকে একটি ছক্কা মেরে পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান। দারুণ খেলছিলেন কোহলি। ১৯তম ওভারে আফগান পেসার ফরিদ আহমেদকে পরপর চার এবং ছক্কা মেরে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। যে কোনো ফরম্যাট মিলিয়ে আড়াই বছরের বেশি সময় পর তিনি সেঞ্চুরি পেলেন। ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১২২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার এবং ৬টি ছক্কার মার। এত দিন টি-টোয়েন্টিতে কোহলির সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৯৪*। ঋষভ পন্থ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২০* রানে।