চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা দু ম্যাচ জেতা মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদ (লাল) তৃতীয় রাউন্ডে এসে হোঁচট খেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। চার নম্বর ম্যাচে এসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৩ রানে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। অন্যদিকে, চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে মোহামেডান।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৫ ওভারে ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, মোহামেডান ৭ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৮২ রানে।
আনিসুল ইসলাম ও জসীমউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা কেসিকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আনিস আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮২ রানের জুটি।
বাপ্পা উইকেটে এসেই ফিরে গেলে জসীমের সাথে এসে জুটি বাঁধেন ফখরুল। কিন্তু বড় জুটি গড়ে উঠার আগেই ৬৭ বলে ১০ চারে ৫৬ রান করে রাজীবের একমাত্র শিকারে পরিণত হন জসীম।
এরপর বাকি ব্যাটাররা দ্রুততার সাথে উইকেটে আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখলে ১৯৬ রানেই থেমে যায় মুক্তিযোদ্ধার ইনিংস।
বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ফখরুদ্দিন ৪২, আব্দুল্লাহ ২০ এবং জগলুল বাশার ১০ রান করেন।
মোহামেডানের হয়ে উত্তম সরকার ও ইসরাত হোসেন সাব্বির নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া, তানভির সাদাত কিং নেন ২ উইকেট।
রান তাড়া করতে গিয়ে ৭ রানে সাব্বিরকে হারানো মোহামেডান ৫০ পেরুনোর আগেই হারিয়ে ফেলে ইশতিয়াক ও তানভিরকে। এরপর দলীয় ৯৬ রানের সময় ফিরে যান একপ্রান্তে লড়ে যাওয়া ওপেনার শাহজাহানও। আউট হওয়ার আগে তিনি ৭২ বলে ৪৩ রান করেন।
এরপর মোহামেডান শিবিরে আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন পাঁচ নম্বরে নামা মোখলেছুর রহমান রনি। কিন্তু দলীয় ১২৮ রানের সময় ৮১ বলে ৫২ রান করে থেমে যান রনি। শেষ দিকে মোহামেডানের উইকেটরক্ষক জলিল (২১* রান) চেষ্টা করলেও পাড়ি দেয়া সম্ভব হয়নি মুক্তিযোদ্ধার রান।
মুক্তিযোদ্ধার হয়ে শামসুদ্দিন বাপ্পা একাই শিকার করেন মোহামেডানের চার ব্যাটারের প্রাণ।