বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

উইম্বলডনে টানা চতুর্থ শিরোপার এক ধাপ দূরে জোকোভিচ

স্পোর্টস ডেস্ক

০৯ জুলাই ২০২২, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

উইম্বলডনে টানা চতুর্থ শিরোপার এক ধাপ দূরে জোকোভিচ

অল ইংল্যান্ড কোর্টে খেলা, তিনি এই মুহুর্তে ব্রিটেনের সেরা টেনিস খেলোয়াড়। এর আগে কখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের তৃতীয় রাউন্ডই পেরোতে পারেননি, সেই ক্যামেরন নরিই এবার উইম্বলডনে দারুণ পারফরম্যান্সে হয়ে গেলেন উন্মুক্ত যুগে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে ওঠা চতুর্থ ব্রিটিশ খেলোয়াড়।

উইম্বলডনের সেমিফাইনালে আজ নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে যখন কোর্টে নেমেছেন নরি, গ্যালারির দর্শক আর ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের মাতামাতি যে তাঁকে নিয়েই থাকবে, সে-ই তো স্বাভাবিক। সেই নরিই প্রথম সেট জিতে যাওয়ার পর তো অবিশ্বাস্য কিছুরই স্বপ্ন দেখেছে ইংল্যান্ড।

কিন্তু ওই পর্যন্তই। শেষ পর্যন্ত নরিকে ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছেন জোকোভিচ। আগামী পরশু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিওসের বিপক্ষে জোকোভিচ নামবেন টানা চতুর্থ উইম্বলডনের লক্ষ্যে।

এবার উইম্বলডন যেন চমকের পর চমকই উপহার দিচ্ছে। মেয়েদের এককে দুই ফাইনালিস্টই এবারই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে। ছেলেদের এককে কিরিওসেরও তা-ই। শুধু জোকোভিচই ব্যতিক্রম, তবে তাঁর গল্পটাও এবার অন্যরকম নয় কী!

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলতে পারেননি। ইউএস ওপেনেও খেলবেন না। এক উইম্বলডনেই টিকা না নিয়েও খেলার সুযোগ আছে, সেটিতেই শিরোপা জেতার পণ করেছিলেন জোকোভিচ। এখন আর এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে জোকোভিচের টানা চতুর্থ উইম্বলডন। 

করোনার টিকা নিয়ে ঝামেলায় রজার ফেদেরারের সমান ২০ গ্র্যান্ড স্লামেই দাঁড়িয়ে আছেন জোকোভিচ, এর মধ্যে রাফায়েল নাদাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা নিয়ে গেছেন ২২-এ। আগামী পরশু ফেদেরারকে ছাড়ানোর আর নাদালের আরেকটু কাছে যাওয়ার সুযোগ জোকোভিচের।

আজ সেমিফাইনালে শুরুতে অবশ্য বড় ধাক্কাই খেয়েছিলেন জোকোভিচ। প্রথম সেটের প্রথম গেমেই তাঁর সার্ভিস ব্রেক করেন নরি। এরপর নাটক! পরের গেমেই নরির সার্ভিস ব্রেক করে ‘জোকার!’ কিন্তু নাটকের তখনো তো শুরু। নিজের দ্বিতীয় সার্ভিস গেমটা জোকোভিচ জিতেছেন বটে, কিন্তু এর পরের দুটিতেই তাঁর সার্ভিস ব্রেক করেন নরি। শেষ পর্যন্ত সেট জিতলেন ২-৬ গেমে।

কিন্তু ব্রিটিশ দর্শকদের প্রথম সেটেই যা আনন্দ দেওয়ার বুঝি দিয়ে ফেলেন নরি। প্রথম সেটে ওভাবে নাকানিচুবানি খেয়ে বুঝি অহমে লাগে জোকোভিচের। দ্বিতীয় সেটে নিজের প্রথম তিন সার্ভিস গেমে পয়েন্ট হারিয়েছেনই মাত্র একটি। অষ্টম গেমে নরির সার্ভিসও ব্রেক করেন। এর পরের গেমে অবশ্য একটা পর্যায়ে জোকোভিচই নিজের সার্ভিস গেমে পিছিয়ে ছিলেন ০-৩০ পয়েন্টে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসে ৬-৩ গেমে সেট জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান জোকোভিচ।

এরপর আর জোকোভিচকে পায় কে! নরির সার্ভিস ব্রেক করে শুরু তৃতীয় সেটে পঞ্চম গেমেও আবার ব্রেক জোকোভিচের। সেট জিতলেন ৬-২ গেমে। ততক্ষণে সম্ভবত অল ইংল্যান্ড ক্লাবে এই অনুভূতিটা ছড়িয়ে গেছে যে, জোকোভিচকে আর হারানো সম্ভব নয় নরির পক্ষে।

চতুর্থ সেটের প্রথম গেমে সেই ধারণা আরও পোক্ত হলো। আবারও নরির সার্ভিস ব্রেক করলেন জোকোভিচ। এরপর আর কোনো সার্ভিস ভাঙাভাঙির খেলা চলেনি, কিন্তু জোকোভিচের আর সেটার দরকারও ছিল না। গেম জিতলেন ৬-৪ ব্যবধানে, ম্যাচও জেতা হয়ে গেল।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন