বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

উড়ন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর টানা চতুর্থ জয়, এবারের শিকার সিটি করপোরেশন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

উড়ন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর টানা চতুর্থ জয়, এবারের শিকার সিটি করপোরেশন

টানা চতুর্থ ম্যাচ জেতার পর চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের উল্লাস

টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে উড়ছে চট্টগ্রাম আবাহনী। এবার তাদের শিকার শক্তিশালী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশ। ইনিংসের শেষ ওভারে তারা চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারে ২ উইকেটে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষের ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের দেখা পেয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।

শেষ ৪ ওভারে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪২ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। ম্যাচের ৪৭তম ওভারে ১ চার ও ১ ছয়ে ১২ রান তুলে আবাহনীকে লড়াইয়ে রাখেন জাতীয় তারকা তাইজুল ইসলাম। 

৪৮তম ওভারে সিটি করপোরেশনকে আবারও ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক রনি চৌধুরী। মাত্র ৪ রান দিয়ে তুলে নেন আবাহনীকে জয়ের রাস্তায় রাখা সাইদুর ইসলাম ইমরানকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ৯৬ বলে ১টি চার ও ১টি ছয়ে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন।

আরিফ রেজার করা ৪৯তম ওভারে ২টি ছয় ও ১ ছক্কায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১৮ রান এনে দিয়ে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তাইজুল ও মহিউদ্দিন।

শেষ ওভারে আবাহনীর জয়ের জন্য দরকার হয় ৮ রান। বিশ্বজিৎ হালদারের করা ওভারের প্রথম বলে  মহিউদ্দিন ১ রান নিয়ে তাইজুলকে স্ট্রাইকে দেন। তাইজুলও কোন ঝুঁকি না নিয়ে পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। ৪ বলে যখন ৬ রান দরকার তখনই বিশ্বজিতের ওভারের ৩য় বলটি লং অনের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। 

জয়ের সময় তাইজুল ১৭ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মহিউদ্দিন ৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে। তার ইনিংসটি ছিল ২ ছয়ে সাজানো।

এর আগে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১০.২ ওভারে ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন। তাইজুল (৪৭ বলে ৩৩ রান) বিদায় নেয়ার পর দ্রুত আউট হয়ে যান ওয়ান ডাউনে নামা শোয়েব ও অপর ওপেনার হান্নান (২৭ বলে ২৪ রান)। 

৬৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা আবাহনীকে ৭১ রানের জুটি এনে দেন শাহাদাত দিপু ও ইমরান। ৪৭ বলে ৩৪ রান করা দিপু আউট হওয়ার পর পর আউট হয়ে যান জহুরুল ইসলাম অমিও। এরপর আবু বক্বর জীবন (১১ রান) ও অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন (২১ রান) বিদায় নিলে আবারও সিটির জয়ের পাল্লা ভারি হয়ে উঠে। 

শেষ পর্যন্ত লড়া সিটি করপোরেশনের সব প্রচেষ্টা থামিয়ে দিয়ে আবাহনীকে জয় এনে দেন সেই তাইজুল ও ইমরান।

সিটির হয়ে রনি ও শাহাদাত নেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে সকালে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৩১ রান তুলতেই সিটি হারিয়ে ফেলে তাদের দুই ওপেনার আশরাফুল ইসলাম রবিন ও মোহাম্মদ রুকনকে। দলীয় ৪০ রানের মাথায় সিটি হারিয়ে ফেলে যুব বিশ্বজয়ী দলের ওপেনার তামজিদ হাসান তামিমকেও। 

পরবর্তী ২০ ওভারে আবাহনীর বোলারদের আর কোন সুযোগ না দিয়ে ৪০.১ ওভারে সিটির রান নিয়ে যান ১৮৮-তে। ২৮ বলে ২৮ রান করা জাহিদুজ্জামান বিদায় নিলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল থেকে দল এবং নিজের রান বাড়ানোর কাজ করে যান আরিফ রেজা। কিন্তু দলীয় ২১২ রানের সময় তুলে মারতে গিয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন আরিফ রেজা। তার ১০৭ বলের ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয়ে।

শেষের দিকে তাইজুলের স্পিন ঝলকে ২৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি সিটি করপোরেশন।

চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে তাইজুল ২৯ এবং জীবন ৩৯ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। হান্নান নেন ২টি এবং তাজুল নেন ১টি উইকেট।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন