সাদা বলের ক্রিকেটে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে আছেন আফিফ হোসেন। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করায় আফিফের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। ম্যাচের পরিস্থিতি ও দলের সমন্বয়ের কারণে একেক সময় একেক ব্যাটিং পজিশনে খেলতে হচ্ছে তাঁকে।
বিভিন্ন পজিশনে চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ায় আফিফ এখন ব্যাটিং অর্ডারে নির্দিষ্ট পজিশন পেতে যাচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে এশিয়া কাপ থেকেই ব্যাটিং অর্ডারের ৪ নম্বরে দেখা যাবে আফিফকে। বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সে আভাস দিয়েছেন।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের খালেদ মাহমুদ বলছিলেন, ‘আমরা সেখানেই ওকে সুযোগ দেব। আমরা নির্দিষ্ট একটা দায়িত্ব নিয়ে আফিফকে চিন্তা করছি। হি ইজ আ ডায়নামো। আমার মনে হয়, সে আত্মবিশ্বাসী একটা ছেলে। শেষ দুটি সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছে। ওয়ানডেতেও ভালো খেলেছে। আমরা আফিফকে সে জায়গাটা দেব। কারণ, সে আমাদের ভবিষ্যৎ।’
টি-টোয়েন্টি দলে যে ধরনের আক্রমণাত্মক মানসিকতার ক্রিকেটার দরকার, আফিফের মধ্যে সে গুণ আছে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ, ‘সবচেয়ে বড় কথা, সে আক্রমণাত্মক। এটাই আমরা দলের মধ্যে চাই। বাংলাদেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। অবশ্যই তাকে আমাদের সে সুযোগটা করে দিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সফরে আফিফ ছিলেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের একমাত্র জয়টি আসে আফিফের ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংসে। ওয়ানডে সিরিজেও আফিফের অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে একমাত্র জয় এনে দেয়।
সফর শেষে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও আফিফকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘আমি আফিফের মধ্যে কিছু অনন্য যোগ্যতা দেখেছি, যেটা খুব বেশি ক্রিকেটারের মধ্যে নেই। আপনি যদি দেখেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও আফিফ যখন ব্যাটিংয়ে আসে, আমরা চাপে ছিলাম এবং চাপটা সে দ্রুতই সরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের খেলোয়াড় অন্যদিন একই জিনিস করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। তখন আপনারা–আমরা বলব যে এটা কী করল! কিন্তু তার মধ্যে যে কোয়ালিটি আছে, সেটা আমি হারাতে চাই না। সে এভাবেই খেলুক।’