গত মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগেরে দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্তরে উন্নীত হয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু চলতি মৌসুমে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই আবারও অবনমন হলো চট্টগ্রাম বিভাগের।
পঞ্চম রাউন্ডে বিকেএসপিতে চট্টগ্রাম বিভাগ ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে রংপুরের কাছে। প্রথম দেখায়ও রংপুরের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল চট্টগ্রাম।
এর আগে ২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে ঘরের মাঠে সিলেটের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল তারকা সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম। তামিম-মুমিনুল-জয় সমৃদ্ধ চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপ থিতু হতে পারেনি প্রথম দু ম্যাচেই। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কল্যাণে একটি এবং হারতে হারতে কোনমতে অন্য আরেকটি ম্যাচে ড্রয়ের দেখা পেয়েছিল চট্টগ্রাম।
লিগের শেষ ম্যাচে বিকেএসপিতেই চট্টগ্রাম মোকাবেলা করবে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে থাকা ঢাকার সাথে। মাত্র ২ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম সেই ম্যাচ জিতলেও নিজেদের অবনমন ঠেকাতে পারবে না।
বিকেএসপিতে পঞ্চম রাউন্ডে রংপুরের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবর ১০০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস। পারভেজ ইমন (৩৩ রান) ও সাইফ উদ্দিন (২২ রান) ছাড়া আর কেউ দু অঙ্কের কোটা পার হতে পারেননি। জবাবে রংপুর নাঈম ইসলামের শতকের সুবাদে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৬৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
২৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে ভালোই সূচনা এনে দেন দু ওপেনার পিনাক ঘোষ ও সৈকত আলী। উদ্বোধনী জুটিতেই চট্টগ্রাম করে ১৭৪ রান। ৭৮ রান করা সৈকতের আউটের পর দলীয় রান দুইশো পূরণের আগেই আউট হয়ে যান পিনাক ঘোষও। আউট হওয়ার আগে পিনাক খেলেন ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। কিন্তু সৈকত-পিনাকের আউটের পর আবারও দেখা মিলে পুরনো চট্টগ্রামের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে চট্টগ্রাম।
৪১ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম। কিন্তু খেলা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের ধারাবাহিক ব্যর্থতার সাথে যোগ দেন দলের বাকিরাও। মাত্র ১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নো বলের ফলে প্রথম বলেই জয় পেয়ে যায় রংপুর।
ডিএস