শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম আবাহনী ঝড়ে উড়ে গেল সিটি করপোরেশনও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১১ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম আবাহনী ঝড়ে উড়ে গেল সিটি করপোরেশনও

একের পর এক টিম চট্টগ্রাম আবাহনীর ঝড়ের শিকার হচ্ছে। এবার তাদের চতুর্থ শিকারে পরিণত হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশ। সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস একাডেমির নিজস্ব খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া চট্টগ্রাম আবাহনী ছুটছে হ্যাটট্রিক শিরোপার দিকে। 

সোমবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ১১৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় সিটিকে। লিগে এটি চট্টগ্রাম আবাহনীর টানা চতুর্থ জয়। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে গেছে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনী ২৯ রানের সময় তাজুল ইসলামকে হারালেও পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে তুলে ৫৬ রান। এরপর মাঠ খারাপের অজুহাতে সিটি করপোরেশন খেলতে আপত্তি জানায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তারা যখন খেলতে রাজি হয় তখন ম্যাচের আয়ু কমে নেমে আসে ৪৫ ওভারে। 

ম্যাচ রিস্টার্ট হওয়ার পর চট্টগ্রাম আবাহনীর ব্যাটাররা দলের ভাণ্ডারে দ্রুত রান যোগ করার কাজে মনোনিবেশ করেন। যেটির শুরু হয় ওপেনার সাইদুল ইসলাম সানজুকে দিয়ে।  ৫১ বলে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া সানজু আউট হওয়ার আগে ৭০ বলে ৭ চার আর ১ ছয়ে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। 

চারে ব্যাট করতে নেমে সাইদুল ইসলাম ইমরানও দেখা পান ফিফটির। রায়েদের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ইমরান ৭১ বল মোকাবেলা করে ৫ চার আর ১ ছয়ে করেন ৫২ রান। পাঁচ নম্বরে চট্টগ্রাম আবাহনীর জার্সি গায়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পান জাহিদ জাবেদ। কিন্তু জাবেদ আগের দুজনের চেয়ে আরও দ্রুত পৌঁছে যান ফিফটিতে। তিনি মাত্র ৪৮ বলে ৭টি চার আর ২টি ছয়ে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সত্যিকারের ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী অধিনায়ক আবু বক্বর জীবন ব্যাটিংয়ে নামার পর। জীবন সিটি করপোরেশনের বোলারদের নাকানিচুবানি খাওয়াতে থাকেন ব্যাট হাতে। তিনি সিটির বোলারদের একেকটি বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে থাকেন। সেগুলোর কিছু সংখ্যক চোখের পলকে মাটি কামড়ে সীমানা পার হলেও বাকিগুলো হাওয়ায় ভেসে এম এ আজিজের গ্যালারির কাছাকাছি গিয়ে পড়তে থাকে। মাত্র ২৪ বলে ফিফটির দেখা পাওয়া জীবন শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। তার ইনিংসে চার-ছয় ছিল যথাক্রমে ৬টি ও ৪টি। 

জীবনের বিধ্বংসী ইনিংসে চট্টগ্রাম আবাহনী পূণ:নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ৩০৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ।

সিটির হয়ে বল হাতে রায়েদ আহমেদ রুদ্র নেন ৩ উইকেট।

বোলিংয়ে সিটিকে নেতৃত্ব দেয়া রুদ্র ব্যাট হাতেও সিটির চালকের আসনে ছিলেন। কিন্তু ১১১ বলে খেলা ৮৪ রানের ইনিংসটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। কেননা, সিটির বাকি ব্যাটারদেরকে উল্লেখযোগ্য রানই করতে দেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর বোলাররা। 

আবাহনীর হয় সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস একাডেমির নিজস্ব খেলোয়াড় শোয়েব নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট করে নেয়া তাজুল এবং হাসনাতও তাদের নিজস্ব খেলোয়াড়।

একাডেমির ছেলেদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশী সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ফোর এইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল। তিনি বলেন, 'আমরা (চট্টগ্রাম আবাহনী) গত দু আসরের চ্যাম্পিয়ন। এবারও প্রথম চার ম্যাচে দাপুটে জয় এনে দিয়েছে একাডেমির ছেলেদের নিয়ে গড়া চট্টগ্রাম আবাহনী। আশাকরি, ছেলেরা পারফরম্যান্স ধরে রেখে সামনে নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাবে।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন