জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চট্টগ্রামের দুর্দশা চলছেই। প্রথম দুই রাউন্ডে লজ্জাজনত হারের পর চতুর্থ রাউন্ডে ফলোঅনে পড়েও কোনমতে হার এড়ায় চট্টগ্রাম বিভাগ। সোমবার শুরু হওয়া এনসিএলের পঞ্চম রাউন্ডেও কাটেনি চট্টগ্রামের দৈন্যদশা। প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০০ রানে। প্রথম দিনের খেলা শেষে রংপুর মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ৫৭ রান করেছে।
বিকেএসপির ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু দুেই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও সৈকত আলী ৯ ওভার উইকেটে ঠিকে থাকতে পারলেও দলীয় ১৫ রান থেকে উইকেট পতনের বৃষ্টি শুরু হয়। তিন নম্বরে নামা পারভেজ হোসেন ইমন এবং সাত নম্বরে নামা সাইফ উদ্দিন ছাড়া আর কোন ব্যাটারই নিজেদের রান দু অঙ্কের কোটা পার করতে পারেনি। ইমন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান এবং সাইফ ২২ রান করেন। এছাড়া বাকিদের রান সংখ্যা টেলিফোন ফিগারের সাথে বেশ মিল। পিনাক ৬, সৈকত ৮, দিপু ৮, ইরফান শুক্কুর ৬, শামীম ৪, মুরাদ ০, মেহেদী ৪, মহিউল ০ এবং রনি ৪ রান করেন। রংপুরের হয়ে রবিউল হক ১৩ রানে নেন ৫ উইকেট।
চট্টগ্রাম-রংপুরের মতো অন্যান্য ভেন্যুতেও চলছে বোলারদের রাজত্ব। প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের ১০ উইকেটসহ চার ম্যাচে পড়েছে ৪৯ উইকেট। তবে ব্যতিক্রম হয়ে এর মাঝেই শতক হাঁকিয়েছেন রাজশীর তানজীদ হাসান তামিম।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সিলেট একাডেমি মাঠে সিলেটের মুখোমুখি হয় ঢাকা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এনামুল হক জুনিয়র একাই নেই ৫ উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে আরও বাজে অবস্থায় পড়ে সিলেট। মাত্র ৭৬ রানে সবকটি উইকেট হারায় তারা। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আল আমিন জুনিয়র। ঢাকার হয়ে ফাইফার নেন সালাউদ্দিন শাকিল ও ৪ উইকেট নেন সুমন খান।
৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য ভালোভাবেই দিন শেষ করেছে তারা। দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১৩ রান। জয়রাজ ৫৯ ও আব্দুল মজিদ ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন।
কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ২৫২ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। ১৩৭ বলে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন তানজীদ হাসান তামিম। জহুরুল ইসলাম ৪৫, মুশফিকুর রহিম ৪৩ ও সানজামুল ইসলাম ৪০ রান করেন। ঢাকা মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান। ৩টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি ও শরিফুল্লাহ।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দিন শেষ করে ঢাকা মেট্রো। নাইম শেখ ১০ ও রাকিন আহমেদ কোনো রান না নিয়ে অপরাজিত আছেন।
ব্যতিক্রম ছিল খুলনা-বরিশালের ম্যাচে। শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে খুলনা ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করে। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন হাসানুজ্জামান। এ ছাড়া নাহিদুল ইসলাম ৪১, জাওয়াদ রোয়েন ৪০ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৪০ রানে অপরাজিত আছেন। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বী ও সোহাগ গাজী।