দুর্দান্তভাবে একের পর এক জয়ে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ছুটে চলছে দুরন্ত আবাহনী। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতিকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তুলে টানা পঞ্চম জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ইমরানের ৫৭ ও দলনায়ক রিপনের ঝোড়োবেগে ৭৫ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের বড় সংগ্রহ করে।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও চট্টগ্রাম আবাহনীর সাড়াশি স্পিন আক্রমণে চবক ক্রীড়া সমিতি ৪৫.২ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
অথচ, উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩ ওভারে ৭০ রান এনে দেন বন্দরের দুই ওপেনার সাব্বির হোসাইন ও নিজাম উদ্দিন সাব্বির। দারুণ খেলতে থাকা সাব্বির হোসানকে (৪০ বলে ৩৮ রান) স্পিনে বিভ্রান্ত করে বোল্ড আউট করেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ শোয়েব। পরের ওভারেই হান্নানের থ্রোতে রান আউট হয়ে যান ৪০ বলে ২৬ রান করা অপর সাব্বির।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দুই লোকাল হিরো মামুন ও রাসেল মিলে আরেকটি বড় জুটি (৪৯ রানের) এনে দেন। তাদের জুটি ভাঙতে আবারও এগিয়ে আসেন শোয়েব। ২৯ রান করা রাসেলও সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে যান।
এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেন চট্টগ্রাম আবাহনীর স্পিনাররা। রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাত্র বিপিএল খেলে আসা রকিবুল হাসান ও আবাহনীর হয়ে নিয়মিত পারফরমার আবু বকর জীবন দুজন মিলে ভাগাভাগি করে বন্দরের ৬ উইকেট তুলে নেন। তাদের সাথে শোয়েবের জোড়া শিকারের ফলে বন্দরের দৌঁড় থেমে যায় ২০৩ রানে।
এর আগে বন্দরের পেসার ইনজামামুল হক প্রথম ওভারেই তুলে নেন চট্টগ্রাম আবাহনীর তাজুলকে। দলীয় ১১ রানের সময় অপর ওপেনার হান্নানকে তুলে নেন ইনজামাম। এরপর খেলার মোমেন্টাম চট্টগ্রাম আবাহনীর হাতে আনার কাজটি করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। ইনজামামের এক ওভারে টানা তিন চারে আক্রমণ থেকে তাকে সরিয়ে দেন দিপু। দলকে ৮৩ রানে রেখে আরিফের বলে বোল্ড হয়ে যান ৫০ বলে ৪৩ রান করা দিপু।
এরপর দ্রুত আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে আবারও আবাহনী শিবিরে শঙ্কা জাগান বন্দরের বোলাররা। এই সময়ে ৬৩ বলে ৩০ রান করা শোয়েবের পাশাপাশি আউট হয়ে যান ইরফান শুক্কুরও।
এরপর আবাহনীর ত্রাতা হয়ে উঠেন সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সাইদুর ইসলাম ও দলনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। এ দুজন ১২৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটি বন্দরের হাতের মুঠো থেকে বের করে ফেলেন।
এর মধ্যে টানা ফিফটির দেখা পান ইমরান। তিনি ৫৭ রান করতে ৭২ বল (৩ চার ও ২ ছয়) খেললেও রিপন ছিলেন বিধ্বংসীরূপে। তিনি মাত্র ৬৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
শেষ দিকে আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মহিউদ্দিন মাত্র ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বন্দরের হয়ে ইনজামাম ৩টি, আরিফ ও নিহাদ নেন ২টি করে উইকেট।