শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুরন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর আরেকটি দুর্দান্ত জয়, এই নিয়ে টানা ছয়ে ছয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

দুরন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর আরেকটি দুর্দান্ত জয়, এই নিয়ে টানা ছয়ে ছয়

একের পর দুর্দান্ত জয় নিয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলছে চট্টগ্রাম আবাহনী। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সবচেয়ে সফল দল চট্টগ্রাম আবাহনীর টানা ষষ্ঠ জয়ও এসেছে হেসেখেলে। তাদের ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হয়েছে লিগে এখন পর্যন্ত জয় না পাওয়া শাহজাহান সংঘ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পাঁচ দিন বিরতির পর শুরু হওয়া ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে শাহজাহান সংঘ।

২৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানের জুটি এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার মাহিন হাসান ও আতিক বিন দেলোয়ার।

উদ্বোধনীতে ভালো জুটি গড়তে পারলেও আর কোন জুটি বড় সংগ্রহ করতে পারেনি শাহজাহান সংঘ। বলা ভালো, তাদের বড় সংগ্রহ করতে দেয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক আবু বক্বর জীবন। তার বাঁহাতি স্পিন বিষে একে একে প্রাণ হারায় শাহজাহান সংঘের ব্যাটাররা।

জীবনের বিধ্বংসী স্পেলে শাহজাহান সংঘের ছয় ব্যাটার 'জীবন' হারান তার কাছে। ফলে, ৪৭.৫ ওভারে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় শাহজাহান সংঘ। যদিও মাঝখানে শাহাদাত বাবু (৩২ রান), ইসমাইল (৩৫ রান) এবং সাদমান (৩৫ রান) চেষ্টা করেছিলেন লড়াই করার। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর ষষ্ঠ জয়ের সামনে সেসব কেবল ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

এর আগে সকালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ধীরলয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করে চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান করতে পারে। এই রান করার জন্য হারিয়ে ফেলে ওপেনার সানজুকে (১২ রান)। 

এরপর হান্নান এসে তাজুলকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়ে দলের রান নিয়ে যান ৬৩ রানে। ২৯ রান করে হান্নানের বিদায়ের পর শোয়েব এসেই বিদায় নেন। দলীয় ৮৮ রানের সময় ৪২ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান হান্নান।  

দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রাম আবাহনীকে খেলায় ফেরান জাহিদ জাবেদ ও সাইদুল ইসলাম ইমরান। এ দুজনের ১১৬ রানের মহামূল্যবান জুটিতে চট্টগ্রাম আবাহনীর রান পার হয়ে যায় দুইশোতে। 

ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে (৫২ বলে অর্ধ ডজন চারে ৪৪ রান) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ইমরান আউট হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আবাহনী হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ইমরানের বিদায়ের পর পর সাজঘরে ফিরে যান ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা জাহিদ জাবেদও। আউট হওয়ার আগে তিনি ৭২ বলে ৮৩ রান করেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে। 

এরপর চট্টগ্রাম আবাহনী আবারও দ্রুত জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলে। সাইফ হাসান ও অধিনায়ক আবু বক্বর জীবনকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম আবাহনীর বড় সংগ্রহ থমকে দাঁড়ায়। তবে, শেষ দিকের দুই ব্যাটার মহিউদ্দিন ও আবুল হাসনাত মিলে চট্টগ্রাম আবাহনীর রান নিয়ে যায় আড়াইশোর উপরে। হাসনাত ১৭ রানে আউট হয়ে গেলেও ২২ রানে অপরাজিত থাকেন মহিউদ্দিন। 

শাহজাহান সংঘের পেসার মমতাজুল হুদা আয়াস ৩৭ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া, রাসেল নেন ৩ উইকেট।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন