দুর্দান্ত প্রতাপে জয়রথ ছুটে চলছে দুরন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর। ভেন্যু বদলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়েছে, কিন্তু একটুও বদলায়নি আবাহনীর জয়ের অভ্যাস। তাদের তৃতীয় জয়ের সামনে একটুও বাঁধা হতে পারেনি ফ্রেন্ডস ক্লাব।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফ্রেন্ডস ক্লাব আগে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। সেটি তাড়া করতে আবাহনীর খেলতে হয় ৩৬.৩ ওভার।
পুরো ম্যাচজুড়ে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর আধিপত্য। আগে ব্যাট করতে নামা ফ্রেন্ডস ক্লাব দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই হারিয়ে ফেলে প্রথম উইকেট। এরপর দ্রুতই হারাতে থাকে একের পর এক উইকেট।
এক পর্যায়ে দলের ভাণ্ডারে ৬০ রান হতেই হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। সেখান থেকে ত্রাতা হয়ে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন রাকিবুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ মুন্না।
এ দু'জন ৪৩ রানের জুটি দলকে নিয়ে যায় একশোর উপরে। আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার শোয়েবের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে রাকিব আউট হলে ভাঙে তাদের মূল্যবান জুটি। আউট হওয়ার আগে রাকিব করেন ৩৮ রান। তবে অন্য ব্যাটার মুন্না আউট হওয়ার আগে তুলে নেন লিগে নিজের প্রথম ফিফটি।
এ দুজনের পাশাপাশি আয়ান ১৭, ফারদিন ও আহরার উভয়ই ১২ রান করেন।
চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে শোয়েব ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া, চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই পেসার তৌহিদ ও ইমন নেন ২টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীকে দারুণ সূচনা এনে দেন তাজুল ইসলাম ও সাঈদুল ইসলাম সানজু। এ দু'জন ১৯.১ ওভার পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। ২৮ রান করে সানজু আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি।
দলকে একই রানে রেখে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা হান্নান। এরপর ইমরান এসে তাজুলের সাথে ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলের রান নিয়ে যান ১৪০-এ। তখনই পর পর তিন বলে ছক্কা হাঁকিয়ে চতুর্থটি হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে যান তাজুল। তার আগে অবশ্য তিনি ৮ চার আর ৪ ছয়ে ১০৪ বলে খেলেন ৭৮ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস।
আবাহনীর দুই কোটা তাইবুর পারভেজ ও সাইফ হাসান আর কোন উইকেট পড়তে না দিয়ে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ফ্রেন্ডস ক্লাবের মনির ৩৯ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভেন্যু খেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, বিসিবির পরিচালক ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য ও ক্রিকেট কমিটির সম্পাদাক একেএম আব্দুল হান্নান আকবর, নির্বাহী সদস্য গোলাম মহিউদ্দিন হাসান, নাসির মিঞা, সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন, সিজেকেএস কাউন্সিলর কামরুল আহসান হাবীব, এস এম ইকবাল মোর্শেদ, আলী হাসান রাজু, গিয়াস উদ্দীন, জসিমুল হুদা, সাইফুল আলম বাবু, ফারুক জামান, আবুল হাসনাত, আদিল কবির, সাবেক কাউন্সিলর শাহ পরান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর মাহমুদুল করিম মাধু, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খাঁন রুবেল, চিফ কিউরেটর বিসিবি জাহিদ রেজা বাবু প্রমুখ।