শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের অন্যতম সফল দল চট্টগ্রাম আবাহনী। এবার ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে লিগে একমাত্র দল হিসেবে টানা অষ্টম জয় তুলে নেয় আবাহনী।
সোমবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪০.৪ ওভারে ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় ইস্পাহানি।
যদিও ম্যাচের শুরুর দিকে খেলার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছিল ইস্পাহানি। তাদের দুই উদ্বোধনী বোলার রোহান ও সাকিব আবাহনীর রান ৪০ এর মধ্যেই তুলে নেন প্রথমসারির চার ব্যাটসম্যানের প্রাণ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ধারাবাহিক সুন্দর উদ্বোধনী জুটি এনে দেওয়া তাজুল-হান্নান, টানা তিন ফিফটি করা ইমরানের পাশাপাশি ছিল আবাহনীর রানমেশিনে পরিণত হওয়া শাহাদাত দিপুও।
'প্রমোশন' পেয়ে আগে নামা চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই বোলার শোয়েব ও জাতীয় তারকা নাঈম হাসান মিলে আবাহনীর প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। দলীয় ১০৯ রানের মাথায় রানআউটের ফাঁদে পড়ে থেমে যায় নাঈমের ৪৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
এরপর একে একে ফিরে যান শোয়েব (৮৬ বলে ৪৮ রান), দলনেতা রিপন ও হাসনাত। ৩৯.২ ওভারে দলের ভাণ্ডারে ১৬১ রান হতে ৮ উইকেট হারিয়ে 'বিপর্যয়ে' পড়া আবাহনীকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা সাব্বির হোসেন ও লিগের সেরা অলরাউন্ডার আবু বক্কর জীবন।
এ দুজন ৬৪ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে দলীয় রান ইস্পাহানির ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। এরমধ্যে সাব্বিরের ৬২ বলে খেলা ক্ল্যাসিকেল ৫৭ রানকে ছাড়িয়ে যায় জীবনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৩৯ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৭৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন জীবন।
ইস্পাহানির হয়ে রোহান ও জয় নেন ৩টি করে উইকেট।
আজকেই প্রথম প্রিমিয়ার খেলতে নামা অফ স্পিনার হাসনাতকে নিয়ে বোলিং আক্রমণের সূচনা করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক রিপন। দুজন মিলে পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে ইস্পাহানিকে খোলসে বন্ধি করে রাখেন। এই সময় তারা লিমনকে হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ৩০ রান।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পাওয়া হাসনাতকে অপেক্ষায় রেখে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারের 'জীবন' নেন জীবন। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী হাসনাত শিকার করতে থাকেন উইকেটের পর উইকেট। মাত্র ৩০ রান খরচা করেই তিনি নিয়ে নেন ইস্পাহানির ৫ উইকেট।
ইস্পাহানির হয়ে বল হাতে সফল রোহান ব্যাটিংয়েও নিজের দক্ষতা দেখান। ৬৪ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৬০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু ইস্পাহানির বাকি ব্যাটাররা বলার মতো কোন রান করতে না পারায় ১৬৮ রানেই থেমে যায় দলের ইনিংস।