চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বার্ডস স্পোর্টিং ক্লাব।
রোববার (২১ মে) বিভাগীয় মহিলা ক্রড়িা কমপ্লেক্স মাঠে লিগের ‘বি’ গ্রুপে ৪র্থ রাউন্ডের খেলায় বার্ডস স্পোর্টিং ক্লাব ১ উইকেটে পিডিবিকে পরাজিত করে। চার খেলায় পিডিবির এটি দ্বিতীয় হার, অপর দুই খেলায় তারা জয় পেয়েছে।
খেলায় টসে জিতে বার্ডস স্পোর্টিং প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পিডিবিকে। পিডিবি ৪৭.৫ ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে। দলের পক্ষে অধিনায়ক আবদুল হান্নান ৫১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসটি ২টি চার এবং ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল। অন্যদের মধ্যে আবদুর রহিম ৪০,আহমেদুল হাসান ২৭ এবং দিদারুল আলম ১১ রান করেন। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ৩৭ রান। বার্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের মো. শাহনেওয়াজ ৫২ রানে ৩ উইকেট পান। ২টি করে উইকেট নেন ইমরান আলম সজিব, আশিক আলম অপূর্ব এবং রুকুনুল আবেদিন।
জবাবে বার্ডস স্পোর্টিং ক্লাব ৪৭.২ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তাদের উদ্বোধনী জুটি ৩৯ রান করে বিচ্ছিন্ন হন। সাইফুদ্দিন কায়সার ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হওয়ার পরপরই অপর ওপেনার রুকুনুল আবেদিনও নিজের ১২ রানে ফিরে যান। দলীয় ৪১, ৪২, ৪৫ এবং ৪৭ রানের মাথায় তাদের চার ব্যাটার দ্রুত ফিরে যান। এর মধ্যে আবদুল কাদের এবং নিজাম উদ্দিন রয়েল কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। পিডিবির বোলার আরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে কোনঠাসা হয়ে পড়ে বার্ডসের ব্যাটিং লাইন আপ। এরপর খেলায় ফিরে আসায় চেষ্টা করেন মেহেরাব হোসেন এবং মো. শাহওনেয়াজ। এ জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪১ রান যোগ করেন। দলীয় ৮৮ রানে শাহনেওয়াজ ব্যক্তিগত ২৮ রানে আউট হয়ে যান। ৯৯ রানে ফিরেন মেহেরাব (১৬)। ফলে ১১১ রানের মাথায় ৮ম উইকেটের পতন ঘটে তাদের। এই অবস্থায় নবম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক জাহেদুল হাসান এবং ইমরান আল সজিব দলের হাল ধরেন। তাদের ব্যাটিংয়ে দল জয়ের সুবাস পেতে থাকে। এ জুটি ৮৩ রান যোগ করলে দলের রান সংখ্যা ১৯৪ এ উন্নীত হয়। সজিব ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হলেও জাহেদুল দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। জাহেদুল ৬৯ বল খেলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সজিব ৬৬ বল খেলে ৪৭ করেন ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে। শেষ ব্যাটার আশিক আলম ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ২৩ রান। পিডিবির আরিফুল ইসলাম ৪৩ রানে বার্ডসের ৪ উইকেট নেন। এছাড়া, আহমেদুল হাসান ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট দখল করেন দেলোয়ার হোসেন।