প্রথম ওয়ানডেতে চরম ব্যর্থ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার দলে জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই ম্যাচের দিন তিনেকের মাথায় যা করলেন আজ, রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বলাই যায়। বুধবার নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে কিউই পেসারদের দাপটে দলের ব্যাটাররা যেখানে উইকেট বিলিয়ে আসছিলেন, সৌম্য সেখানে খেললেন ঝলমলে এক ইনিংস। ১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় করলেন ১৬৯ রান!
দেশের ক্রিকেটে ওয়ানডে ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। একটুর জন্য লিটন দাসকে (১৭৬) ছাড়াতে পারলেন না সৌম্য। তবে এরই মধ্যে হয়েছে আরেক বিরল রেকর্ড। যাতে পেছনে পড়ল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক রেকর্ডও। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সৌম্য সরকারের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিংই করেছেন সৌম্য। বিগত দিনগুলোতে যেসব কারণে সমালোচিত হয়েছেন, সেখানেই আজ দেখা গিয়েছে উন্নতির গ্রাফ। দুইবার লাইফ পেয়েছেন কিউই বোলারদের কল্যাণে। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজেও লাগিয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংস টেনে নিয়েছেন ১৬৯ পর্যন্ত।
১১৬ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেন ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার। তার শতকের সুবাদে বাংলাদেশও টিকে রইল ম্যাচে। সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। ফিফটি পেয়েছিলেন শেষ ২০১৯ সালে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ব্যাটে রান ফেরায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন ৩০ বছর বয়েসী এই ব্যাটার।
তবে এমন দিনেও দলীয় রানের বিচারে হইয়ত খানিক অতৃপ্তি থেকেই যাবে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৯১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপটাই হয়ত বড় হতে পাড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের জন্য।