পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হওয়া হলো না পাইরেটস অব চিটাগাংয়ের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশের কাছে তারা হেরেছে ৫৬ রানের ব্যবধানে।
প্রথম জয়ে জয়ের পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারলো শিরোপা প্রত্যাশী বিগ বাজেটের দল পাইরেটস অব চিটাগাং। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশের অবস্থা তাদের বিপরীত। প্রথম ম্যাচে হারার পর জিতল টানা দুই ম্যাচ।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি হতে পারতো পাইরেটসের। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারানো সিটি করপোরেশন একাদশ ১২৮ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৮ উইকেট।
তখনই সিটির ত্রাতা হিসেবে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যানে পরিণত হন নয় ও দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা বোলার বিশ্বনাথ হাওলাদার ও রনি চৌধুরী। এ দুজন ৮১ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়ে দলের রান নিয়ে যান ২০৯-এ।
বিশ্বনাথের অপরাজিত ৪৮ রান সিটির ইনিংসের সর্বোচ্চ। রনির অপরাজিত ৩৭ এর পরেই। এছাড়া, সিটির দুই ওপেনার রুকন ও পিনাকের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান করে। পাশাপাশি আরিফুল ইসলাম ১৯ রান ও শাহাদাত বাবু ১২ রান করেন।
পাইরেটসের টিপু সুলতান ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া ইফরান ও জাতীয় তারকা নাঈম ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে পাইরেটসের টপ অর্ডার রানের দেখা পাননি। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে আব্দুল্লাহ আলিফ ছাড়া সবাই আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। এরমধ্যে জাতীয় তারকা রকিবুল হাসানও। ফলে দলীয় রান ৫০ হতে না হতেই তাদের হারাতে হয় ৬ উইকেট।
দলীয় অধিনায়ক নাঈম ইসলাম অবশ্য এক প্রান্তে অবিচল থেকে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে বল হাতে সফল টিপু সুলতান ছাড়া আর কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে ৯২ বলে ৫১ রান করেও পরাজয়ের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নাঈমকে। এছাড়া, টিপু সুলতান ২৬, ইফরান ১৯ রান করেন।
সিটির হয়ে সেই বিশ্বনাথ হাওলাদার নেতৃত্ব দেন বোলিং আক্রমণেও। বল হাতে নেন ৩ উইকেট। পাশাপাশি শিপন ও বাবু শিকার করেন ২টি করে উইকেট।