বিশ্বকাপে বৃষ্টির সাথে বেরসিক একটি সম্পর্ক আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বারবার বৃষ্টিরবলি হতে হয় তাদেরকে।পাকিস্তানের সাথে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হার 'উপহার' এর জন্য অবশ্য পুরোপুরি বৃষ্টিকে দায়ী করতে পারবে না। কেননা, বৃষ্টির আগেই তারা বলতে গেলে লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছিল।
বৃষ্টির পর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রান। হেনরিক্স ক্লাসেন এবং ট্রিস্টান স্টাবস এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতে যাবে।
কিন্তু সহসাই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে পাকিস্তান এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেও বাধা দিতে সক্ষম হয় তারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান।
তবে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ফিরে যান ক্লাসেন। এরপর আর ম্যাচের গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ধারাবাহিকভাবেই হারিয়েছে উইকেট। ক্রিজে থাকা ব্যাটার স্টাবস অবশ্য ফিরেছেন ১৮ রান করে। শেষ ওভারে ৪১ রানের প্রয়োজন হলে সেটা সংগ্রহ করা অসম্ভব ছিল। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে আফ্রিকা সংগ্রহ করে ১০৮ রান। দিন শেষে ৩৩ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভুমার দল।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। এছাড়া, দুই উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।
বৃষ্টি শুরুর আগে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন টেম্বা বাভুমা। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থ এই ব্যাটার এদিন খোলোস ছেড়ে যেনো বেরিয়ে আসেন। ৪ চারের সঙ্গে ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান এই অধিনায়ক। তবে এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ডি কক এবং রাইলি রুশো। মাঝের সময় এইডেন মার্করাম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ২০ রানে তিনি ফিরে যান।
এর আগে আজ সিডনিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে যেন বিপদই ডেকে আনে পাকিস্তান দল। শুরুতেই দলের তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায়। এরপর অবশ্য নতুন করে দলে যুক্ত হওয়া মোহাম্মদ হারিস দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। ৩ ছয় ২ চারে ১১ বলে ২৮ করে বিদায় নেন হারিসও।
খানিকবাদেই আবার পাক শিবিরে আঘাত, ৪ রান করে ফিরে যান বাবর আজম। পরপর চার ম্যাচেই সিঙ্গেল ডিজিটের রানে বিদায় নেন এই অধিনায়ক। এরপর শান মাসুদ ২ রানে ফিরে গেলে ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপ পড়ে পাকিস্তান।