পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। এবারের আসরে এশিয়ার একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ উঠেছে সুপার এইটে। আইসিসির গ্রুপ সিডিংয়ে এশিয়ার তিন দলই, ভারত, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ পড়েছে এক গ্রুপে।
সুপার এইটে আফগানিস্তান ও ভারতের ম্যাচকে ঘিরে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল সমর্থকদের মনে। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে আফগানিস্তান ছিল পানসে। সহজেই তারা হেরে গিয়েছে। একই অবস্থা বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে। তবুও সেমিফাইনালের আশা টিকে আছে এখনো। সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতেই ভারতের বিপক্ষে আজ মাঠে রাতে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ম্যাচটা শুরু হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা ছিল একপেশে। ব্যাটিং-বোলিং কোনো কিছুই অজিদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। শরীরী ভাষায় ছিল না জয়ের জেদ। কেবল মাঠে নামার জন্যই নামা, এমন একটা আবহ তৈরি হয়েছিল। তবে এবার লড়াইটা যখন ভারতের বিপক্ষে তখন বাংলাদেশ কিছুটা লড়াই করবে সেই আশা করাই যায়। অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে, হারার আগে হারবে না সেই আশা করাই যায়।
পরিসংখ্যান অবশ্য সেই আশা দেখাচ্ছে না। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের তেরোবারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ কেবল একবার জিতেছে। বাকি ১২ ম্যাচে ভারত জিতেছে। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দল অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয়েছিল। যে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ রানে।
প্রতিবেশি এই দুই দল শেষ কয়েক বছরে যতবারই মাঠে নেমেছে, কোনো না কোনো ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছড়ায়, উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আজও তেমন কিছু হবে এমনটাই প্রত্যাশা।
আজকের ম্যাচে ভারতকে হারাতে না পারলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখবে ভারত। অ্যান্টিগায় কার মুখে হাসি ফুটবে? রোহিত শর্মার ভারত নাকি নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশের? উত্তরের অপেক্ষায়।