পাকিস্তানের ইনিংসের ১৭.৫ ওভারের স্যাম কারানের বলটা অফ সাইডে ঠেলে সিঙ্গেল নিলেন, নন স্ট্রাইক প্রান্তে ক্রিজে পৌঁছে দিলেন লাফ। সঙ্গে গর্জন। বাবর আজমের চোখেমুখে এরপর দেখা গেল স্বস্তির ছাপ। এশিয়া কাপে নিস্প্রভ ছিলেন, স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল, আলোচনা ছিল ওপেনিংয়ে ব্যাটিং নিয়েও। বাবর সব কিছুর জবাব দিলেন করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। ওই শটেই পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
বাবরের রেকর্ড সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তাঁর রেকর্ড জুটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ২০০ রানের লক্ষ্যে বাবর খেললেন ৬৬ বলে ১১০ রানের ইনিংস, মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে গড়লেন ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটি। তাতেই ১০ উইকেটের জয় পেল পাকিস্তান, সিরিজে সমতা আনলো ১-১ ব্যবধানে। রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৮৮ রানে।
করাচি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইংল্যান্ডের দেয়া ২০০ রানের টার্গেট পাকিস্তান পেরিয়েছে ৩ বল হাতে রেখে। আগের ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিলেন বাবররা।
বাবর-রিজওয়ানের জুটি রান তাড়ায় টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল এ দুজনেরই, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁরা গড়েছিলেন অবিচ্ছিন্ন ১৯৭ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও এটি রেকর্ড রান তাড়া। আর বাবর প্রথম পাকিস্তান ব্যাটসম্যান হিসেবে পেয়েছেন একাধিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
এর আগে মঈন আলি ও বেন ডাকেটদের বিধ্বসী ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান করে ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আলেক্স হেলস দুর্দান্ত শুরু করলেও ২১ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন দাহানির ওভারে। মালানকে দাহানি ফেরান শূন্য রানে। এরপর ৫৩ রানের জুটি গড়েন ফিলিপ সল্ট ও বেন ডাকেন মিলে। সল্ট প্যাভিলিয়ন ফেরেন ২০ রান করে।
বিধ্বসী ডাকেটকে আউট করে পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন মেমাহাম্মদ নেওয়াজ। ইংলিশ ব্যাটার ২২ বলে ৭ চারে করেন ৪৩ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে শুরু হয় মঈন ঝড়। ২৩ বলে দুশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দাহানি ও হারিস রউফ। নেওয়াজ পান এক উইকেট।