১৯৯৪ থেকে ২০০২; রোনালদো-কাফুদের যুগে ব্রাজিল টানা তিনবার ফাইনাল খেলেছে। সর্বোচ্চ পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি ২০০২ সালের পর আর ফাইনালেই খেলতে পারেনি। টানা দুই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার থেকে বিদায়। ২০০৬-২২ পাঁচ বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে ব্রাজিলের হন্তারক ইউরোপীয় দল।
২০০৬ সাল থেকে শুরু। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে জিদানের ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয় রোনালদো-রোনালদিনিওদের। এরপরের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড, ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি ও গত রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরেছিল ব্রাজিল। সেই তালিকায় ২০২২ এ এসে যোগ হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার নাম।
ইউরোপের দলের সঙ্গে ব্রাজিল কেন পেরে উঠছে না। সেটা এখন এক বড় আলোচনার বিষয়ই বটে। ১২ টি বিশ্বকাপ কাভার করেছেন হল্যান্ডের সাংবাদিক জ্যা গোপট। ব্রাজিলের সাম্প্রতিক এই ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের ফুটবলাররা এখন ইউরোপেই বেশি সময় কাটায়। এর ফলে সেই চিরচেনা ব্রাজিল আর নেই। তবে তিতের এই ব্রাজিল আগের সেই ব্রাজিলের ঢংয়েই ছিল। দারুণ খেলছিল। কালকের হারটি আমি বলব অবশ্যই দুভার্গ্যের। কারণ পুরো ম্যাচে ব্রাজিলই ভালো খেলেছিল।’
কাফু, রোনালদো, রিভালদোরাও তাদের সেরা সময় ইউরোপের ক্লাবগুলোতে কাটিয়েছেন। সেই সময় ইউরোপের দলগুলো ব্রাজিলের বিপক্ষে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের উত্তর, ‘তাদের মান ও যোগ্যতা অত্যন্ত উঁচু মানের ছিল। যার ফলে তারা দুই ক্ষেত্রেই নিজেদের আলাদাভাবে মানিয়ে নিতে পারতেন। যা বর্তমান সময়ে সম্ভব হচ্ছে না।’
তিতের এই দল কোয়ার্টারে থেমে যাওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন ব্রাজিলের অন্যতম সিনিয়র সাংবাদিক নাদাল, ‘এই দলটি ভালোই খেলছিল। কালকের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে আরো গোল হওয়ার মত ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি। এটাই বাস্তবতা।’
ব্রাজিল এই টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট ছিল। সর্বোচ্চ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কি-না এবারও কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নিল! ব্রাজিল ও নেইমার ছাড়া কাতার বিশ্বকাপ অনেকটাই রং হারিয়েছে। এর সঙ্গে একমত নন হল্যান্ড সাংবাদিক, ‘এবারের বিশ্বকাপের সৌন্দর্য্যই এটা। কেউ ফেভারিট নয়, যে কেউ হারতে পারে।’