দুর্বার রাজশাহীকে দুর্দান্ত এক জয় উপহার দিতে গিয়েও শেষ মুহুর্তে এসে পারেননি বিজয়। বিজয়ের বেশে মাঠ ছাড়তে পারেননি বিজয়, দারুণ লড়াকু এক শতকে দুর্দান্ত এক জয় শেষ মুহুর্তে এসে হাতছাড়া হয়ে গেছে দুর্বার রাজশাহীর। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের তৃতীয় দিনের রাতের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে জয়ের নিকটে এসেও ৭ রানে হেরেছে দুর্বার রাজশাহী। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং, এবং শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
এনামুল হক বিজয় নিজেকে অভাগা ভাবতেই পারেন। মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তবে চেষ্টার কমতি রাখেননি। লড়াই করে দলকে জয়ের কাছাকাছি আনলেও শেষ পর্যন্ত ফসলটা ঘরে তুলতে পারেনি দুর্বার রাজশাহী। জয়ের জন্য ১২ বলে রাজশাহীর দরকার ছিল ২৫ রান। ১৯তম ওভারে খুলনার পাকিস্তানি পেসার সালমান ইরশাদ খরচা করেন মাত্র ৮ রান। তুলে নেন সেট ব্যাটার রায়ার্ন বার্লের উইকেট। এতেই চাপে পড়ে রাজশাহী। কারণ, শেষ ওভারে বিজয়ের দলের দরকার পড়ে ১৭ রান। এরপর হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারে রাজশাহীর দুই ব্যাটার বিজয় ও আকবর আলী মিলে তুলতে পারেন মোটে ৯ রান।
চাপের মধ্যে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য হাসান মাহমুদ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। তার ৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট খেলার ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছে। এই জয়ের ফলে খুলনা টাইগার্স প্লে-অফের দৌঁড়ে রাজশাহীকে টপকে চতুর্থ স্থানে উঠলো।
এদিন, আগে ব্যাটিং ২০৯ রান করে খুলনা। অ্যালেক্স রস ছাড়া খুলনার যেই ব্যাটারই উইকেটে এসেছেন, রান করেছেন। এর মধ্যে ফিফটি হাঁকান আফিফ হোসেন ও উইলিয়াম বসিস্টো। জোড়া ফিফটির পর শেষ দিকে ঝড় তোলেন মাহিদুল ইসলাম অংকন। ১২ বলে করেছেন ৩০ রান।
উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ বলে ৪২ রান করেন খুলনার দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। জিসান আলমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ বলে ২৭ রান করেন নাইম। মিরাজের ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস শেষ হয় তাসকিন আহমেদের বলে জিসানের হাতে ক্যাচ হয়ে। ৩ বলে ১ রান করে রানআউট হন রস। চতুর্থ উইকেটে ৭১ বলে ১১৩ রানের জুটি করেন আফিফ ও বসিস্টো। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৪২ বলে ৫৬ রান (৩ চার ও ৩ ছক্কা) করেন আফিফ। বসিস্টো থাকেন অপরাজিত। হার না মানা ৩৭ বলে ৫৫ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ডানহাতি ব্যাটার। শেষ দিকে ৪ ছক্কায় ১২ বলে ৩০ রান করে ইনিংস শেষ করে আসেন মাহিদুল।
রাজশাহীর হয়ে তাসকিন ২ আর জিসান ১ উইকেট শিকার করেন।