পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্রকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখতে চান না আকিব জাভেদ। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অস্ট্রেলিয়া আসরে না খেলার পরামর্শ দিলেন সাবেক এই পেসার।
গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুর চোটে পড়েন আফ্রিদি। পুরোপুরি সেরে না উঠলেও তাকে রাখা হয় পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে।
এই চোটের কারণে সবশেষ এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি আফ্রিদি। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ টি-টোয়েন্টির লড়াইয়েও তাকে পাবে না পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও অনিশ্চিত তিনি।
বর্তমানে পুনর্বাসনের জন্য লন্ডনে আছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগামী ১৫ অক্টোবর ব্রিজবেনে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
তিন সংস্করণেই দলের সেরা পেসারদের একজন আফ্রিদিকে নিয়ে পিসিবির পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ বলেছিলেন, আফ্রিদির পুনবার্সন প্রক্রিয়া পিসিবি যেভাবে সামলাচ্ছে, তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
এরপর দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও শাহিনের হবু শ্বশুর শাহিদ আফ্রিদি ফাটান আরেক বোমা। তিনি দাবি করেন, নিজেই টিকেট কেটে লন্ডনে গিয়ে নিজের খরচে পুনবার্সন চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। পিসিবি কোনো সহায়তাই করছে না। পরে অবশ্য সব খরচ শোধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিসিবি।
পিএসএলে শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে কাজ করেছেন আকিব। লাহোর কালান্দার্সের প্রধান কোচ আকিব আর দলটির অধিনায়ক আফ্রিদি। লম্বা সময় ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করা উত্তরসূরিকে বিশ্বকাপেই খেলতে মানা করলেন আকিব। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসারের মতে, বৈশ্বিক আসরের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আফ্রিদি।
‘শাহিন আফ্রিদির মতো ফাস্ট বোলার প্রতিদিন জন্মায় না। শাহিন আফ্রিদির প্রতি আমার উপদেশ আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলার। কারণ এই বিশ্বকাপের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শাহিন।’
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে আগামী ২৩ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।