২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলে আসছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছিল টাইগাররা। তবে সেই শেষ।
এরপর থেকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে আর একটি ম্যাচও জেতেনি টাইগাররা। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে মূল পর্বে ২৪ ম্যাচ খেলে ২৩টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি। যদিও বাছাইপর্বে জয় দেখেছিল টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে সরাসরি মূল পর্বেই খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে এবার গ্রুপ পর্বে নয় সরাসরি মূল পর্বের সুপার টুয়েলভে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আর সুপার টুয়েলভে সরাসরি সুযোগ করে নেওয়ায় বিশ্বকাপের প্রাইজমানি থেকে ৭০ হাজার ইউএস ডলার পাবে টাইগাররা।
সুপার টুয়েলভ পর্বে খেলা প্রতিটি দলই ৭০ হাজার ডলার করে পাবে। বাংলাদেশি অর্থমূল্যে যা ৭০ লাখ টাকার সমান। এদিকে সুপার টুয়েলভ পর্বে প্রতিটি দল পাঁচটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এই পাঁচ ম্যাচের প্রতিটি জিতলেই আরও ৪০ হাজার ইউএস ডলার করে বাড়তি পাবে যেকোন দল।
সেই হিসাবে বাংলাদেশ যদি সুপার টুয়েলভ পর্বে কমপক্ষে ১টি জয়ও পায় তবে ৭০ হাজারের সঙ্গে আরও ৪০ হাজার মোট ১ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলার পাবে। অর্থাৎ, ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা পাবে টাইগাররা। তবে তার জন্য ১৫ বছরের জয়খরা কাটাতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে।
বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আজ প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে। ১৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের সর্বমোট প্রাইজমানি ৫৬ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৬ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এক বিবৃততে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১৬ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রানার আপ দলের ঝুলিতে যাবে ৮ কোটি ৭৫ হাজার টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দলের জন্য থাকছে ৪ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।