স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলকে বহনকারী বিমান ইজাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাত তখন গভীর হলেও বিমানবন্দরের বাইরে ছিল জনতার ঢল। কেউ পতাকা নিয়ে, কেউ জার্সি পরে, কেউ বা স্লোগান দিয়ে, ইউনিসন ও মুচাচোস গান গেয়ে গেয়ে অপেক্ষা করছিলেন মেসিদের আগমনের। তাদের একনজর দেখার জন্য।
রাত ৩টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বের হন মেসি-ডি মারিয়ারা। তাদের বহনকারী ছাদখোলা বাসের চারদিকে তখন জনসমুদ্র। তারা নেচে-গেয়ে অভিবাদন জানাতে থাকেন বিশ্বকাপ জয়ী বীরদের।
বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরাও তাদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন নেচে-গেয়ে। খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হওয়া এনজো ফার্নান্দেজ ড্রাম বাজাচ্ছিলেন জোর তালে। শুরুতে অবশ্য এই ড্রামটা ছিল লাওতারো মার্টিনেজের কাছে। তিনিও বেশ কিছুক্ষণ বাজান। অন্যান্যদের মধ্যে কারও কারও হাতে ছিল বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র।
এরপর জনতা আর বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়রা ‘মুচাচোস’ গানের ব্র্যান্ড সংস্করণের সঙ্গে তালে তালে নাচতে ও গাইতে থাকেন। যে গানটি কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আনঅফিসিয়াল জাতীয় সঙ্গীতের মতো হয়ে গিয়েছিল।
জনসমুদ্রের মধ্যে সংকীর্ণ একটি পথ তৈরি করে গানের তালে তালে কচ্ছপগতিতে এগোতে থাকে বিশ্বকাপ জয়ীদের বহনকারী ছাদখোলা বাস। অবশ্য জনতার চাপ সামাল দিতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
বিমানবন্দর থেকে খেলোয়াড়রা যান আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) হেড কোয়ার্টারে। সেখানেই তারা বাকিটা সময় বিশ্রাম নিবেন। কেউ কেউ বলছে খেলোয়াড়রা বাকিটা সময় থাকবেন এএফএ-এর ট্রেনিং সেন্টারের আবাসন কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার দুপুরে এখান থেকেই ছাদখোলা বাসে করে আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওবেলিস্কের দিকে রওয়ানা দিবেন মেসি-ডি মারিয়ারা। সবশেষ ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের আনুষ্ঠানিক উদযাপনটা হয়েছিল এখানেই। শুধু বিশ্বকাপ জয় নয়, যেকোনো ক্রীড়ানন্দ উদযাপনের ঐতিহাসিক ভেন্যু এটি।
এই উদযাপনে যাতে দেশের সকলেই অংশ নিতে পারে সেজন্য প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন।